ভোটের তারিখ পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীরা না বুঝেই আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। গতকাল কমিশনের বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পূজার বিষয়ে আগেই বলা হয়েছে এটি পরিবর্তন হয়নি। কমিশন আগেই বলেছেন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ তারিখ হলো পূজা, ৩০ তারিখ পূজা নেই। আর ২ তারিখ থেকেই মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা। আগের দিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। মাঝে সময় একদিনই আছে ৩০ তারিখ, যেদিন নির্বাচন করা যায়। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হাইকোর্টে রিট করেছিল, সে রিটটিও খারিজ হয়ে গেছে। কারণ তাদের যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে তা তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আদালত নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত তারিখটি যুক্তিযুক্ত মনে করেছে তাই রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন।
ইসির সচিব বলেন, তারা বলেছিলেন আপিল করবেন, কিন্তু আমি কিছুক্ষণ আগেও খোঁজ নিয়ে জেনেছি এখন পর্যন্ত কোন আপিল করা হয়নি। যেহেতু আপিল হয়নি, আর আপিল বিভাগ থেকে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি সুতরাং নির্বাচন কমিশনের ৩০ তারিখ যে নির্ধারিত তারিখ রয়েছে সেই তারিখেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভোটের তারিখ পরিবর্তনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন শুর হয়েছে, এতে নির্বাচনে কোন প্রভাব পরবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কথা না। কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যাবে আন্দোলন করা তাদের ঠিক হচ্ছে না। এটা হয়তবা তারা না বুঝে করছে। তাদের বুঝতে হবে সরস্বতী পূজা হলো ২৯ তারিখ, নির্বাচন হচ্ছে ৩০ তারিখ। আলমগীর বলেন, নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় ৩০ তারিখ, সেদিন নির্বাচন হবে। যারা আন্দোলন করছে তারা বয়সে নবীন, তারা হয়ত কেউ বুঝে কেউ না বুঝে আন্দোলন করছে।