× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিটি নির্বাচন পেছাতে ইসি ঘেরাও কর্মসূচি /পুলিশের বাধায় শাহবাগে বিক্ষোভ, অবরোধ

দেশ বিদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৬ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পেছানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে বাধা পেয়ে বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে বিক্ষোভ করেন। এরপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষুব্ধরা আজ সকাল ১১টায় ফের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কমকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। রাজধানীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে শাহবাগে অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পিটুনির শিকার হয়েছেন মতিঝিল এলাকার এক ব্যবসায়ী। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেন। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স থাকায় পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে, তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
এর আগে পূর্ব ঘোষিত ইসি ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের এজিএস সাদ্দাম হোসেন। এসময় নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, হাই কোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে আপনারা নিজেরা সামপ্রদায়িক সিদ্ধান্ত নিলে এটা ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক এবং স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন কোনো সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারে না যাতে সামপ্রদায়িকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। টিএসসিতে সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা ইসির উদ্দেশে বের হলে শাহবাগে তাদের পথ রোধ করে পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শেষে বিক্ষুব্ধরা সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবরোধ তুলে নেয়ার সময় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র উৎপল বিশ্বাস। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কখনো পূজার দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে পারে না। আমরা চাই এখনো সময় আছে নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।
ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই পরিকল্পিতভাবে পূজার দিনে নির্বাচন: এদিকে অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশে পূজার দিনে নির্বাচন হতে পারে না মন্তব্য করে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্র বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই পরিকল্পিতভাবে পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। তিন বলেন, নির্বাচনের এগিয়ে বা পিছিয়ে দেয়া উচিত। গতকাল বিকালে ডাকসু ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বলেন, সরস্বতীপূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা সরকারের একটি নীলনকশা। বর্তমান নতজানু নির্বাচন কমিশন সরকারের কনসার্ন ছাড়া নিশ্চয়ই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি! কোনো ষড়যন্ত্র বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই পরিকল্পনা করে এ কাজটি করা হয়েছে। বাংলাদেশ অবশ্যই অসামপ্রদায়িক চেতনার একটি দেশ। সরস্বতীপূজা সনাতন ধর্মের একটি বড় উৎসব। এই দিনে নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে দেয়া উচিত। নুর বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন চেয়ে করা একটি রিট হাইকোর্ট থেকে খারিজ করে দেয়া হয়েছে। সেদিন মানুষ ভোট দেবে, নাকি তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে? তাই আমাদের দাবি, নির্বাচনের তারিখ হয় এগোতে হবে, নয়তো পেছাতে হবে। আমরা মনে করি, এখানে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কোনো ষড়যন্ত্র বা কারসাজি রয়েছে। পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর