× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দ্য প্রিন্টের রিপোর্ট /যে কারণে বাংলাদেশের কাছে পিয়াজ বিক্রি করতে চায় ভারত

প্রথম পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
১৬ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

বিভিন্ন রাজ্যের চাহিদা মেটাতে পিয়াজ আমদানি করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয়  সরকার। কিন্তু আমদানির পর বেশ কয়েকটি রাজ্য তাদের চাহিদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এমতাবস্থায় আমদানি করা পিয়াজ বাংলাদেশকে কিনে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। সোমবার ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল ইসলামকে এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এ খবর দিয়েছে দ্য প্রিন্ট।
বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে ৩৬ হাজার টন পিয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে ভারত সরকার। এর মধ্যে ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে পৌঁছেছে ১৮ হাজার টন পিয়াজ।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া পিয়াজের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্য সরকার মাত্র ৩ হাজার টন পিয়াজ কিনেছে। বাকি ১৫ টন পিয়াজ মুম্বই জেএনপিটি বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে।


ভারতের ভোক্তা কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান চলতি মাসের শুরুর দিকে জানান যে, ৫টি রাজ্য সরকার মিলে মোট ১৬ হাজার ৪৮০ টন পিয়াজের চাহিদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকার ১০ হাজার, আসাম সরকার ৩ হাজার, হরিয়ানা সরকার ৩ হাজার ৪৮০, কর্ণাটক সরকার ২৫০ ও ওড়িশা সরকার ১০০ টন পিয়াজের চাহিদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতে পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০০ রুপি ছাড়ালে কেন্দ্রীয় সরকারকে পিয়াজ আমদানির আহ্বান জানায় রাজ্যগুলোর সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে উচ্চ মূল্য ও স্বাদ ভিন্ন হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে তারা পিছু হটেছে।

এদিকে, আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাজ্যগুলো যদি পিয়াজ না নেয় তাহলে অচিরেই সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পিয়াজ অত্যন্ত পচনশীল পণ্য। প্রতি সপ্তাহে এটি ৩৫ শতাংশ করে পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা জানান, ভারত পিয়াজগুলো প্রতি টন ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার দামে কিনেছে। কিন্তু বাংলাদেশকে সেগুলো প্রতি টন ৫৫০ থেকে ৫৮০ ডলার দামে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ পক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নেপাল দিয়ে চীন থেকে পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। সে হিসেবে ভারতের উচিত বাংলাদেশকে বিনামূল্যে পরিবহনসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া।

উল্লেখ্য, গত বছর আচমকা বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে দেশের ভেতর তীব্র পিয়াজ ঘাটতি দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস আগে ভারত সফরে গিয়ে এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী সে সময় বলেছিলেন, ভারত আচমকা পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় আমরা বিপদে পড়ে গেছি। এ ব্যাপারে আগে থেকে জানালে অন্য কোথাও থেকে পিয়াজ এনে রাখা যেতো। এ ছাড়া কিছুটা রসিকতা করে তিনি বলেন, আমি আমার রাঁধুনিকে পিয়াজ ছাড়া রান্না করতে বলেছি। আমি ভারত সরকারকে অনুরোধ করবো যে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যেন আমাদের জানায়। যতই হোক, আমরা প্রতিবেশী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর