চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাখরপুর গ্রামটি খুবই অবহেলিত। সেখানে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। পশ্চিম বাখরপুর গ্রামে প্রায় দুই হাজার মানুষের বসবাস।
সেখানে একটি খাল পার হয়ে ওই গ্রামের মানুষকে শহর ও বাজারে যেতে হয়। সেই খালের ওপর কালভার্ট ও ব্রিজ না থাকায় একটি মাত্র বাঁশের সাঁকোই তাদের পারাপারে মাধ্যম। আর প্রতিবার নির্বাচন এলে ব্রিজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই এলাকার ভোটারদের বোকা বানিয়ে ভোট বাগিয়ে নেন প্রার্থীরা।
একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী তিনি তিনবার চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণ হয়নি আজও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্রিজ-কালভার্ট-রাস্তা নির্মাণ দূরে থাক, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা না করায় বাঁশের সাঁকোটিও ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন পরপরই এলাকাবাসী নিজ খরচে বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, চেয়ারম্যান কথা দিয়ে কথা রাখেননি, এই এলাকার হতদরিদ্র জনগণ নিজেদের পকেটের টাকায় সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন। স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের আসা-যাওয়া পথে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। তিন তিনবার খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী ব্রিজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেননি।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী জানান, নির্বাচনের সময়ে অনেকেই বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে, তাই বলে সব বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, তাই তা হয়ে ওঠেনি। তবে সাঁকো নির্মাণের খরচ দিয়ে থাকেন। তিনি আরও জানান, বাখরপুরে ওই খালটির প্রস্থ বেশি হওয়ায় সেখানে ব্রিজ নির্মাণ সম্ভব হয়নি।