আগামী ৩০শে সরস্বতী পূজার দিন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বচানের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার ‘সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মিথুন রায় বলেন, সাধারণত সরস্বতী পূজা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। আবার ৩০শে জানুয়ারির ভোট কেন্দ্র ও নির্ধারিত হবে শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় আমরা কীভাবে পূজা উদযাপন করবো? এজন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান যেন তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত সরকার বলেন, ভোট দেওয়া আমাদের অধিকার। একই সঙ্গে পূজা পালন করা আমাদের ধর্মাবলম্বীর জন্য একান্ত কর্তব্য। এখন নির্বাচন ও পূজা একসঙ্গে হলে আমরা পূজা পালন করবো নাকি ভোট প্রয়োগ করব?
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপন সূত্রধরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৩০শে জানুয়ারি ছুটির দিন। পূজার জন্য অনেক আয়োজন থাকে। সেগুলা আগের দিন থেকে করতে হয়।
কিন্তু নির্বাচন হলে সেটা সম্ভব নয়। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন করা হয়। তাহলে কেমনে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চাই, নির্বাচন পেছানো হোক।
বক্তারা আরও বলেন, ৩০শে জানুয়ারি আমাদের শাস্ত্র অনুসারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উদযাপিত হবে। কিন্তু উদ্বিগ্নের বিষয় হলো একই দিনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যার দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হিল্লোল কান্তি দাস বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার দাবি নিয়ে দাঁড়াতে হবে এটা ভাবতেও আমার কষ্ট হচ্ছে। এই তারিখে নির্বাচন দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন সবুজ বলেন, নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় ধিক্কার জানাই।