× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘দেশের টিভি চ্যানেলগুলো চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

তারেক আখন্দ। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান। দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এরইমধ্যে নিয়েছেন নতুন বছরের বেশকিছু পরিকল্পনা। আগামী ৩১শে মার্চ চ্যানেলটি ১৫ বছরে পদার্পণ করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি প্রথমেই দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের এই পথ চলায় তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। দর্শকবিমুখ থাকলে কোনো টিভি চ্যানেল সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে না বলে আমি মনে করি।
দর্শকের ভালোবাসাতেই আমরা আগামীর পথচলায় সাহস পাই। দীর্ঘ সময়ে বাংলাভিশনের অর্জন কি মনে করেন? তিনি বলেন, আমরা দর্শকের মনে আলাদা করে জায়গা করে নিতে পেরেছি বলেই মনে করছি। আমাদের সংবাদে নিরপেক্ষতার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এটা অনেক বড় একটি বিষয়। আমাদের বলার মতো বেশ কিছু বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুষ্ঠান তৈরি হয়েছে। জনপ্রিয় নাটকের একটি বড় তালিকাও তৈরি হয়েছে। এগুলো আমাদের বড় অর্জন। গেল দুই ঈদের অনুষ্ঠানমালায় টিআরপি’র দিক থেকেও আমরা এগিয়ে ছিলাম। এই সময়ে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রান্তিকাল পার করছে বলে অনেক মনে করেন। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন? তারেক আখন্দ বলেন, এটি সত্যি, দেশের টিভি চ্যানেলগুলো চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। বিভিন্ন কারণে চ্যানেলগুলোকে এ চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে। এরমধ্যে একটি হলো বিজ্ঞাপন ভাগ হয়ে যাওয়া। একটি কথা না বললেই নয়, বিজ্ঞাপনের ওপর টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্ভর করতে হয়। একটা সময় ছিলো বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টেলিভিশন মাধ্যমের ওপর ভর করতে হতো। কিন্তু এখন আর সেটি নেই। এখন দর্শকের বিনোদনের জন্য নানা ডিজিটাল প্ল্যাটফরম এসেছে। যার ফলে এ বিজ্ঞাপনগুলোও ভাগ হয়ে যাচ্ছে। টিভি চ্যানেলগুলোকে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে এ প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে। টিভি চ্যানেলগুলোর ভবিষ্যৎ কী? এ প্রশ্নের জবাবে তারেক আখন্দ বলেন, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে টিভি চ্যানেলগুলোকে। সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে টিকে থাকা সম্ভব না প্রতিযোগিতার এ সময়ে। এছাড়া দর্শকের মনের মতো অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে। যেন দর্শক তাদের চ্যানেলটি দেখেন। এ সময়ে টিভি চ্যানেলে একটি অনুষ্ঠান প্রচারের পর পরই সেটি চলে যাচ্ছে ইউটিউবে। এ কারণেও দর্শক এখন টেলিভিশন চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখছে না বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে আপনার অভিমত কী? তিনি বলেন, ইউটিউব ও টেলিভিশনের দর্শক এক নয়। দু’টির ভিউয়ার্স দুই ধরনের। আমরা টেলিভিশনের দর্শককে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পাচ্ছি। কিন্তু ইউটিউবের দর্শককে চ্যানেলে পাচ্ছি না। এক্ষেত্রে একটি অনুষ্ঠান টেলিভিশনে প্রচারের পর ইউটিউবে এলে টেলিভিশন তার দর্শক হারাচ্ছে এটি ঠিক বলা যাবে না। গেল কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে দেশীয় টেলিভিশনের দর্শক ভারতীয় চ্যানেলমুখী। তাদের দেশীয় চ্যানেলমুখী করার জন্য কী করণীয়? এ প্রশ্নের উত্তরে তারেক আখন্দ বলেন, কয়েক বছর ধরে দর্শক ভারতীয় চ্যানেলমুখী এটি সত্য না। আমাদের দেশে স্যাটেলাইট চালু হওয়ার পর থেকেই দর্শক ভারতীয় চ্যানেলগুলো দেখছে। আর একটা বিষয় আমাদের বাজার আর তাদের বাজার এক নয়। আমাদের দর্শক ভারতীয় চ্যানেলে যে ধরনের অনুষ্ঠান দেখছে আমরা সেগুলো নির্মাণ করতে পারবো না। কারণ আমাদের আর তাদের সামাজিকতা এক নয়। তাদের সিরিয়ালে দেখা যায় মায়ের বিয়ে দেয়ার জন্য মেয়ের আয়োজন। আমাদের সমাজে এ ধরনের নাটক কখনো দর্শক নেবে না। আমাদের বাংলাভিশন চ্যানেল বরাবরই চেষ্টা করে পারিবারিক নানা ধরনের গল্পের নাটক নির্মাণ করতে। এছাড়া বৈচিত্র্যময় আরো কিছু অনুষ্ঠান আমাদের আছে। সেগুলো দিয়ে আমরা দর্শকদের বিনোদন দিতে চাই।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর