ভারতের কেরালায় ভেঙে ফেলা হয়েছে সুউচ্চ দুটি ভবন। এতে ছিল ৩৫০টি এপার্টমেন্ট এবং ৩০০টি পরিবারের বাসস্থান। যথাযথ নিয়মকানুন না মেনে তৈরি করায় ওই ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে ভবনটির ডেভেলপারদের পরিবেশ আইন না মানার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। তাদেরকে অর্থ জরিমানা করে এপার্টমেন্ট মালিকদের মধ্যে তা ভাগ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এতেও বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এপার্টমেন্ট মালিকরা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেসব ভারতীয় কাজ করেন তাদের মধ্যে একটি বড় অংশই কেরালার। প্রতি বছর তারা কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান দেশে।
ফলে সামপ্রতিক সময়ে রাজ্যটিতে বড় ধরনের নির্মাণ কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এতে অনিয়মের ঘটনাও বেড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সমপ্রতি উঠেপড়ে লেগেছে।
সমপ্রতি ধ্বংস করা প্রায় ৩৫০ এপার্টমেন্টের মূল্য হচ্ছে ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবস্থানগত সুবিধার কারণে এটি এর মালিকদের কাছেও প্রিয় ছিল। গত বছর এপার্টমেন্ট বাঁচাতে এর মালিকরা অনশনও করেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, আজীবনের সঞ্চয় দিয়ে এই এপার্টমেন্ট কিনেছেন তারা। কিন্তু আদালত কঠিনভাবে ভবন দুটি ভেঙে ফেলার রায় দেয়। এখন তারা তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য আবারো আইনি লড়াই করতে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ আদালত প্রতি এপার্টমেন্ট মালিককে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই অর্থ আদায় করা হবে অভিযুক্ত ডেভেলপারদের কাছ থেকে। অনেক পরিবারই প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করেছে। তবে তাদের সবাই-ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ কর কমাতে রেজিস্ট্রেশনের সময় এপার্টমেন্টের মূল্য কম দেয়া ছিল। ফলে তারা যা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে তা সত্যিকার ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।