× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘পার্টিটা ফাইনালের জন্য রেখেছে রয়্যালস’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

ফাইনালে উঠতে শেষ ১২ বলে ৩১ রান প্রয়োজন ছিল রাজশাহী রয়্যালসের। উইকেটে ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। বিস্ফোরক ইনিংসে মাত্র ৮ বলেই তুলে নেন রানটা। ৪ বল হাতে রেখে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী। ২২ বলে ২ চার, ৭ ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল। বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এ রাজশাহীকে ফাইনালে তোলার পর রাসেল বলেন, ‘আমার জন্য কাজটা সহজ ছিল না। একটা মিস টাইম হয়ে গেলে আউট হয়ে যেতে পারতাম। ফিল্ডিং পজিশনগুলো দেখে চেয়েছি মাঝ ব্যাটে খেলতে।
যেন বাউন্ডারির ওপারে গিয়ে পড়ে।’ ফাইনালের জন্য ভক্তদের আরো বড় কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলেন এই ক্যারিবিয়ান। রাসেল বলেন, ‘এখন যদি এখানে পার্টি করার মতো একটা ক্লাব থাকতো! তবে এখনই এতো তাড়াহুড়ো করা যাবে না। কারণ দু’দিনের মধ্যেই আরেকটি বড় ম্যাচ। তাই আমি আজকের পার্টিটা ফাইনালের জন্য জমিয়ে রাখলাম।’
নবম উইকটে আবু জায়েদ রাহীর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটিতে রাজশাহীকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন রাসেল। সঙ্গ দেয়ার জন্য রাহীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। রাসেল বলেন, ‘অন্য পাশে যেভাবে উইকেট পড়েছে, কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছি এক পাশে থেকে শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে। রাহীকে ধন্যবাদ সে সঙ্গ দিতে পেরেছে।’ এত জোরে কীভাবে মারেন? কব্জিতে এত জোর কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রাসেলের উত্তর, ‘ডাবের পানি আর কিছু ফল খেয়েছি। বেশি কিছু না।’
বুধবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ক্রিসে গেইল তাণ্ডবে একটা সময় ৯.১ ওভারে চ্যালেঞ্জার্সের সংগ্রহ ছিল ৯৭/২। কিন্তু আফিফ হোসেনের করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন গেইল। ২৪ বলে ৬ চার, ৫ ছক্কায় করেন ৬০ রান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে মাত্র ১৫ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন গেইল। ১৮ বলে সমান তিনটি করে চার-ছয়ে ৩৩ রান করেন রিয়াদ। চট্টগ্রামের ইনিংস থামে ১৬৪/৯-এ। রাজশাহীর হয়ে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ ও পেসার মোহাম্মদ ইরফান নেন দুটি করে উইকেট।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৪ রানে ওপেনার লিটন দাস (৬) ও আফিফ হোসেনকে (২) হারায় রাহশাহী। দলীয় ৩৪ রানে বিদায় নেন অলক কাপালি (৯)। শোয়েব মালিকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২২ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা ইরফান শুক্কুর আউট হন দলীয় ৮৪ রানে। ততক্ষণে ১৪.৪ ওভার পেরিয়ে গেছে। ওভার প্রতি ১৪’র ওপর রান প্রয়োজন রাজশাহীর। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা রাসেল উইকেটে এসেই দ্বিতীয় বলে হাঁকান ছয়। রুবেল হোসেনের করা ১৬তম ওভার থেকে দুই ছয় ও এক চারে তোলেন ১৯ রান। এক ছয় মোহাম্মদ নাওয়াজের। রাসেল-নাওয়াজ পরের ওভারে চড়াও হন রায়াদ এমরিতের ওপর। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান নাওয়াজ। পরপর দুই বল ওয়াইড। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি লাইন থেকে নাওয়াজের দুর্দান্ত ক্যাচ লুফেন ইমরুল। তৃতীয় বলে রান হয়নি। চতুর্থ বলে আবার ছক্কা মারেন ফরহাদ রেজা। পঞ্চম বলে আউট। তবে শেষ বলে ছয় মেরে রাজশাহীকে লড়াইয়ে রাখেন রাসেল। ১৮তম ওভারে ম্যাচ আবার ঘুরিয়ে দেন রুবেল। টানা ৫ বল ডট দেন রাসেলকে। শেষ বলে রাসেল একটি ছক্কা হাঁকান। ১৯তম ওভারে বল হাতে নেন টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা বোলার মেহেদী হাসান রানা। কিন্তু রাসেলের সামনে বল করতে যেন ভুলে গিয়েছিলেন।
রানার চার বল খেলে দুই ছয় ও এক চারে ১৭ রান তুলে নেন রাসেল। শেষ বলে স্ট্রাইকিং প্রান্তে গিয়ে চার মেরে দেন রাহী। তাতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার হয় রাজশাহীর। অকেশনাল বোলার আসেলা গুনারত্নে প্রথম দুই বল ডট দিয়ে তৃতীয় বল দেন ওয়াইড। চতুর্থ বলে রাসেলের ছয়, সঙ্গে ‘নো’। ম্যাচটাও শেষ হয়ে যায় ওখানে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর