ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মজনু। গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিয়ে মজনু জানিয়েছে, রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত সংলগ্ন ঝোপঝাড়ে ওই ছাত্রীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণে বাধা দিলে ওই ছাত্রীকে মারধরও করেছে মজনু। ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এর আগে ৯ই জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি পুলিশকে অনুমতি দেন আদালত।
গত ৫ই জানুয়ারি বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামেন তিনি।
এসময় হঠাৎ করেই পেছন থেকে তার মুখ চেপে জোর করে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে। এই ঘটনায় পরদিন ৬ই জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। ঘটনার পর ধর্ষণের অভিযোগে মজনু নামে এক যুবককে আটক করে র্যাব। এ বিষয়ে গত ৮ই জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে র?্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেছে সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। সে মাদকাসক্ত। তার বাড়ি হাতিয়ায়। এর আগেও ওই একই এলাকায় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছে মজনু। ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ সম্পর্কে র?্যাব জানায়, সেদিন মজনু অসুস্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলো। সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে দেখে ও তাকে ধর্ষণ করার জন্য টার্গেট করে। র্যাব জানায়, কয়েক বছর আগে মজনু বিয়ে করেছিলো। তার স্ত্রী মারা গেছেন। মজনু চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।