বিএনপি নয়, গোটা দেশ আজ কঠিন সময় পার করছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত চেতনাকে ধ্বংস করেছে, তেমনি ধ্বংস করেছে দেশের গণতন্ত্রকে। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হয়েও বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সংবিধান সংশোধন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেই ক্ষান্ত হয়নি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে নতুন আঙ্গিকে ছদ্মবেশী বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। গতকাল নীলফামারী জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ কেউ আজ স্বাধীন নয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে সরকার। তার পরেও গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশে আজ কোনো শাসন ব্যবস্থা নেই। সব ধ্বংস হয়ে গেছে।
’৭১-এর পর তারা কম্বল চুরি করলেও এখন করছে ব্যাংক চুরি। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে ব্যাংক থেকে। চারদিকে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। চোরের খনিতে পরিণত হয়েছে গোটা দেশ। মির্জা ফখরুল বলেন, যে দানব সরকার আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দাঁড়াতে হবে। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকুু, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ও জহুরুল আলম প্রমুখ। সম্মেলনে সাবেক যুবদল নেতা আলমগীর সরকার ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জহরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।