× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনশনে শিক্ষার্থীরা

শেষের পাতা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার
ছবি : জীবন আহমেদ

আগামী ৩০শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে এবার আমরণ অনশন শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। গতকাল দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্যের সামনে এ অনশন কর্মসূচি শুরু করে তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। এদিকে, শিক্ষার্থীদের অনশনে সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও।

এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন সিটি নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়। বাধা পেয়ে আবারো শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর নতুন কর্মসূচি দিয়ে ওইদিনের আন্দোলন শেষ করে।
সেদিন আন্দোলনকারীরা নির্বাচন পেছাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়। আহ্বানে সাড়া দিয়ে গতকাল রাজধানীসহ দেশের আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়। এদিকে, শিক্ষার্থীদের এ অনশনে সংহতি প্রকাশ করেছেন ডাকসু ও ছাত্রলীগের নেতারা। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ও জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস বলেন, একই সঙ্গে পূজা ও নির্বাচন হতে পারে না বলে আমরা মনে করি। তাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে আমরা সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলে এই অহিংস আন্দোলনে অংশ নিয়েছি।

আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা বলেছেন পূজা নাকি হবে ২৯ তারিখ, নির্বাচন হবে ৩০ তারিখ। আমরা বলতে চাই, পূজা ২৯ তারিখে শুরু হলেও এর মূল আনষ্ঠানিকতা ৩০ তারিখ। তাই আমরা আপনাকে বলতে চাই, আপনি শিক্ষিত হতে পারেন, কিন্তু আপনার নূন্যতম বিবেকবোধ নেই। সরস্বতী পূজার দিনে যারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে তাদের পদে থাকার কোনও দরকার নেই। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না করা হলে ধরে নেবো এদেশে ধর্মের কোন স্বাধীনতা নেই। আর যে দেশে ধর্মের স্বাধীনতা নেই, সে দেশ অসামপ্রদায়িক নয় বলে আমরা মনে করি। আর মুর্তি হাতে ইসির দড়িতে বাঁধা যুবকের প্রতিবাদের বিষয়ে উৎপল বিশ্বাস বলেন, হাতে মুর্তি নিয়ে রশিতে বাঁধা যুবকের দ্বারা আমরা বুঝাতে চেয়েছি যে, আমাদের ধর্মীয় উৎসব ইসির হাতে বাঁধা। পূজা হচ্ছে আমাদের ধর্মীয় উৎসব। আর নির্বাচন হচ্ছে আমাদের আরেকটি জাতীয় উৎসব। তবে দুইটার কনসেপ্ট আলাদা। তাই দুইটাকে দুই জায়গায় রাখাই ভালো। দুইটা উৎসব একই দিন পালিত হতে পারে না। এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা কি পূজা করবো, না নির্বাচনে অংশ নেবো। কিন্তু ইসি এ জিনিসটা না বুঝে দুইটাকে একই রশিতে বাঁধতে চাইছে। যেটি কোন ভাবেই ছাত্র সমাজ ভালো ভাবে দেখেনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর