× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কেন ওরা বিদ্রোহী

প্রথম পাতা

আল-আমিন
১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় পৌনে দুইশ’ কাউন্সিলর প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে লড়ছেন। এমন প্রার্থীদের নিয়ে বিপাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে থাকায় চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের ১১২ এবং বিএনপি’র ৬৫ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের ৪০ জন, দক্ষিণে ৭২ জন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। অন্যদিকে উত্তরে ২২ ওয়ার্ডে বিএনপির ৩৪ জন ও দক্ষিণে ২৪টি ওয়ার্ডে ৩১ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

তাদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা চলছে দলীয়ভাবে। তবে দল তাদের সাড়া পাচ্ছে না।
সূত্র বলছে, নানা কারণে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তাদের কেউ দলীয় মূল্যায়নে হতাশ হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। আবার কেউ এলাকায় আধিপত্য কব্জায় রাখার জন্য কাউন্সিলর পদ পেতে চাইছেন। তাই এসব প্রার্থীরা নির্বাচনে মরিয়া হয়ে লড়বেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তাই প্রার্থীরা নিজেদের জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করবেন। এতে দল সমর্থিত প্রার্থীরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের জন্য চালেঞ্জে পড়বেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আগে ও পরে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

এ ধরণের পরিস্থিতি ঠেকাতে আগে থেকেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে ইতিমধ্যে ডিএমপি সদর দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। যেসব এলাকাগুলোতে সংঘর্ষের আশংঙ্কা রয়েছে ওইসব এলাকাগুলোতে আগে থেকেই পুলিশ পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি গড়ে তুলবে। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দ্বারা যদি নির্বাচনের হানাহানির শঙ্কা থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশর অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন গতকাল মানবজমিনকে জানান, ‘আসন্ন ডিসিসি নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। যেসব দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী এলাকাগুলোতে হট্টগোল সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ অনেকটা সুষ্ঠু রয়েছে বলে ডিএমপির কর্মকর্তারা মনে করছেন।  নির্বাচনের তারিখ যতো ঘনিয়ে আসছে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী তারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনেকদিন ধরে নানা বিষয়ে রেশারেশি চলে আসছে। এছাড়াও চলতি অনেক কাউন্সিলর শুদ্ধি অভিযানে তাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য আসার কারণে বাদ পড়েছেন। বাদ পড়েও তারা অনেকস্থানে প্রার্থী হয়েছেন। এতে ওই এলাকাগুলোতে একাধিক পক্ষ সক্রিয়। নির্বাচনের সময় তাদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের শঙ্কা রয়েছে।

সূত্র জানায়, পল্লবী, তেজগাঁও, বাড্ডা, কামরাঙ্গীচর ও রূপনগর এলাকায় বিশেষ নজর থাকবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর।  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কদম আলী মাদবর। এ ছাড়াও এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আরও দুজন প্রার্থী দলীয় সমর্থনের বাইরে লড়ছেন। তারা হলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল ইসলাম আশিক ও সাবেক কাউন্সিলর মো. ইসমাইল হোসেন বেনু। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রবিনকে আওয়ামী লীগের সমর্থন দেয়া হয়েছে। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আরও দুইজন প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর ও রূপনগর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী রজ্জব হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি।  সূত্র জানায়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তেফাজ্জল হোসেন। মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপনও এখানে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কাশেম মোল্লা। এই এলাকায় হট্রগোলের আশংঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও দক্ষিণের ১১, ১৩, ১৯ ও ২০ নম্বর  ওয়ার্ড এবং উত্তরের ৭, ৬, ৯. ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন উপলক্ষে থানা পুলিশের সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন। থানা পুলিশ সদস্যদের টহল বেড়েছে। টহল বাড়ানো হয়েছে থানার মোবাইল পার্টি, পিকেট পার্টি ও ফুট পেট্রোল গুলোর। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানোর পরিকল্পনা আছে বলে ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর