দিন দিন বরিশালের থানাগুলোতে ক্রমশ বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। কিন্তু অপরাধ প্রবণতা রোধে প্রশাসনের নেই কোনো আপাত পদক্ষেপ। এর ফলে জনজীবনে বাড়ছে অস্থিরতা ও আতঙ্ক। ২০১৮ সালে সংঘটিত খুনের তুলনায় ২০১৯ সালে ৫টি খুন বেশি হয়েছে। গত বছর খুনের সংখ্যা ছিল ৫০। ২০১৯ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৫৫টিতে। ২০১৯ সালে মোট সংঘটিত অপরাধ ৪১৭২টি। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও তা প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনার ফলে অপরাধীদের সাহস দিন দিন বাড়ছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৪টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১৪টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২২টি মামলা দায়ের করা হয়, ৮ জন শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া ১৫০ মাদক মামলাসহ মোট ৩১৯টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৮টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১৩টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়, ১ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৩৬ মাদক মামলাসহ মোট ২৮৮টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৩টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১২টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়, ১ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৫২ মাদক মামলাসহ মোট ৩২১টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৪টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১৫টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৩৯টি মামলা দায়ের করা হয়, ১৬২ মাদক মামলাসহ মোট ২৪৯টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ১টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১৬টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৫২টি মামলা দায়ের করা হয়, ১ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৭৩ মাদক মামলাসহ মোট ৩৭১টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৭টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১৩টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়, ৪ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৫৭ মাদক মামলাসহ মোট ৩৮১টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৫টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১৮টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়, ৪ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৯১ মাদক মামলাসহ মোট ৩৪৮টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৫টি খুনের ঘটনা ঘটে, ২২টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৪৭টি মামলা দায়ের করা হয়, ১ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ২০১ মাদক মামলাসহ মোট ৪০৮টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৫টি খুনের ঘটনা ঘটে, ২৭টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়, ২ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৯৩ মাদক মামলাসহ মোট ৩৯৫টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৪টি খুনের ঘটনা ঘটে, ২৮টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৩২টি মামলা দায়ের করা হয়, ২ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৬৮ মাদক মামলাসহ মোট ৩৫৯টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৪টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১৮টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ৪৪টি মামলা দায়ের করা হয়, ৪ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৪১ মাদক মামলাসহ মোট ৩২৭টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলার ১৪টি থানা এলাকায় ৫টি খুনের ঘটনা ঘটে, ১২টি চুরি ও সিঁধেল চুরি সংঘটিত হয়, নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২৪টি মামলা দায়ের করা হয়, ৪ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়, ১৪৪ মাদক মামলাসহ মোট ৩০৬টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।