সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার জননন্দিত মেয়র আবদুল মনাফকে তার নিজের পছন্দের জীবদ্দশায় তৈরি করা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে গতকাল। এর পূর্বে গতকাল বিকাল ৩টায় মরহুমের নামাজে জানাজা জগন্নাথপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সামাজিক, শিক্ষক সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি শোকাহত কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে মেয়র আবদুল মনাফের বাসভবনে জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুরে মেয়রের মা-বাবার পাশে বেঁচে থাকা অবস্থায় নিজের পছন্দ অনুযায়ী তৈরি পাকা কবরে শায়িত করা হয়। এদিকে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে জগন্নাথপুর পৌর সভার মেয়র আবদুল মনাফের বাসভবনে মরদেহের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। পরে তিনি মরহুম আবদুল মনাফের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় মেয়রের বড় ছেলে সেলিম মিয়া পরিকল্পনা মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, তার বাবা মেয়র আবদুল মনাফকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রয়াত মেয়র আবদুল মনাফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এর পূর্বে সকাল ১১টায় জগন্নাথপুর পৌরসভা প্রাঙ্গণে মেয়র আবদুল মনাফের মরদেহ সর্বস্তরের মানুুষ ফুল নিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, দুইবারের মতো নির্বাচিত মেয়র আবদুল মনাফ (৬৫) গত ছয় মাস ধরে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। সমপ্রতি তাকে যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সেখানে নেয়া হয়। গত ১১ই জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ১৫ই জানুয়ারি মরহুমের মরদেহ দেশে ফেরে।