রাজধানীতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতার কারণ এবং দায়ীদের চিহ্নিতে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে চিঠি দিয়ে দুই মাস সময় চেয়েছেন তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান ঢাকার জেলা জজ হেলাল চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সময় চাওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান বলেন, আরো দুই মাস সময় বাড়ানোর জন্য কমিটির একটি চিঠি পেয়েছেন।
এর আগে হাইকোর্ট গত ১২ই নভেম্বর এক আদেশে ঢাকা জেলা জজের নেতৃত্বে দুই সদস্যের কমিটিকে বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব এ বিষয়ে তদন্ত করবেন। তদন্ত কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক, আইসিডিআরবির একজন কর্মকর্তা, প্ল্যান প্রোটেকশনের একজন কর্মকর্তা এবং পাবলিক হেলথ বিভাগের একজন কর্মকর্তার মতামত নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, কমিটি চাইলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যেকোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির মতামত নিতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কমিটিকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যর্থতা বা গাফিলতি ছিল কিনা তা অনুসন্ধান করে চলতি বছরের ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে সরকারি হিসাবে ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ৬ই নভেম্বর, সারা দেশে এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কতজন মানুষ মারা গেছেন, তার সংখ্যা জানতে চান হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আগামী ১১ই নভেম্বর মধ্যে এফিডেভিট আকারে এডিস মশা নির্মূলের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী রাষ্ট্র পক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা এবং দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কমিটিকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যর্থতা বা গাফিলতি ছিল কিনা তা অনুসন্ধান করে চলতি বছরের ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।