× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দোহারে বন্ধের একদিন পর ফের বালু উত্তোলন শুরু

বাংলারজমিন

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

প্রশাসনের  অভিযানে বন্ধের ঠিক একদিন পরই গতকাল সকাল থেকে ঢাকার দোহার উপজেলার লটাখোলা সেতুর সামনে থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে বালুখেকোরা। গত বুধবার অভিযান চালিয়ে  লটাখোলা খালে বালু কাটা বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। ধ্বংস করা হয় একাধিক ড্রেজার ও পাইপ। কিন্তু এ ঘটনার ঠিক একদিন পরই গতকাল সকাল থেকে মহাসমারোহে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে স্থানটিতে। সরজমিন পরিদর্শনে বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, স্থানীয় সুজন, তোতা মাদবর, ইলিয়াস মোল্লা ও মো. আকতারসহ কয়েকজন ব্যক্তি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। শ্রমিকরা জানান, বিশেষ ব্যবস্থায় সবাইকে ম্যানেজ করেই ফের বালু কাটা শুরু করেছে তারা। সেই বিশেষ ব্যবস্থা কী জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আপনারা বুঝে নেন। সব বলা যাবে না।
জানা যায়, প্রতিবছরই উপজেলা প্রশাসন ও থানা থেকে মাত্র ৫শ’ গজ দূরে চর লটাখোলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর শাখা খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু তুলে বিক্রি করে আসছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা বাধা দিলেও বালুখেকোরা তাতে কর্ণপাত করে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছরই এ স্থানে বালু কাটা নিয়ে চলে চোর-পুলিশ খেলা। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু আবার শুরু করেছে সেটা আমাদের জানা নেই। এবার বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। উল্লেখ্য যে, দোহারে পদ্মা বাঁধের বৃহৎ প্রকল্প চলছে। যে কারণে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন একেবারে বন্ধ করতে সালমান এফ রহমান এমপির নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করেও বিভিন্ন স্থানে এখনো বালু উত্তোলন চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর