× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফাইভ-জি’র অভিজ্ঞতা নিতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। আর এর মূল আকর্ষণ মেলার টাইটেনিয়াম সহযোগী হুয়াওয়ের ফাইভ-জি প্রদর্শন। বিপুল দর্শকের উপস্থিতি ছিলো হুয়াওয়ের প্যাভেলিয়নে। দর্শনার্থীদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা ছিলো উল্লেখ করার মতো। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসে বিনামূল্যে ফাইভ-জি পরীক্ষা করে। রিয়েল টাইমে ফাইভ-জি ’র বিস্ময়কর গতিতে তারা মুগ্ধ এবং উচ্ছসিত। ফাইভ-জি’র অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিম মিতু বলেন, ‘অবিশ্বাস্য! আমি তো রীতিমত মুগ্ধ।’ রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান রাফি বলেন, ‘এক কথায় বলতে গেলে, ফাইভ- জি’র স্পিড দেখে আমি বিস্মিত এবং চরম শিহরিত। ইন্টারনেটে এমন স্পিড যে পাওয়া যেতে পারে, সেটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারতাম না।
দর্শনার্থীরা ফাইভ-জি ব্যবহারে সেকেন্ডে ১.৬ জিবি গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ফাইভ-জি’র উন্নয়ন ও গবেষণায় হুয়াওয়ের দীর্ঘ দিনের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। ফাইভ-জি’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর কাজ করছে হুয়াওয়ে। আর এর মধ্যেই এজন্য ব্যয় করেছে চার বিলিয়ন ডলার। ফাইভ-জি’র অভিজ্ঞতা নেয়া ছাড়াও দর্শনার্থীরা রিয়েল টাইম ভিআর উপভোগ করছেন। ফাইভ-জি ভিআর চোখে পড়ার সাথে সাথেই তারা নিজেদের আবিষ্কার করছেন বরফের উপর স্কিইরত অবস্থায়। এদিকে হুয়াওয়ে প্যাভেলিয়নে শিশু-কিশোরদের জন্য অন্যতম আকর্ষন ছিলো ‘হিউম্যানয়েড রোবট’। বিশেষভাবে নির্মিত রোবটটিকে যে কেউ নিজ হাতের ইশারায় ফুটবল খেলাতে পারে। হাতের ইশারায় রোবটটিকে খেলাতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত শিশুশ্রেণি পড়ুয়া এরিক আহসান। তার বাবা এনামুল আহসান বলেন, রোবট ওর ভীষণ পছন্দের।  তাই এ ধরণের একটি আয়োজন করা হয়েছে শুনে ওকে নিয়ে আসলাম। ও ভীষণ উপভোগ করছে। বিনামূল্যে এ রকম চমৎকার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ায় হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ। উন্নত প্রযুক্তি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান।
মেলায় হুয়াওয়ের ফাইভ-জি স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি বাজারে বর্তমান হুয়াওয়ের ফোনগুলোও কিনতে পারছেন তারা। এদিকে মেলায় বাংলাদেশে টেলিফোন ব্যবস্থার ইতিহাস তুলে ধরেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ মানবজমিনকে বলেন, অতীতে যতরকম টেলিফোন ব্যবহার করা হয়েছে সবগুলো আমরা মেলায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা বিটিসিএল এর ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এই মেলা শেষ হবে আজ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর