× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আরব সাগরে প্রবাসী ইদ্রিছের লাশ, দিশাহারা স্বজনরা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস-আল-খাইমা প্রদেশের ওয়াদি শামস এলাকায় সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে গাড়ি উল্টে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন প্রবাসী মো. ইদ্রিছ। নিখোঁজের ৭ দিন পর শুক্রবার ভোরের দিকে আরব সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে সে দেশের পুলিশ।
নিহত ইদ্রিছ (৪০) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের আফজল পাড়ার বাসিন্দা আহমদ জলিলের একমাত্র ছেলে। তার লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার।
তিনি জানান, ইদ্রিছের স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুর খবর শুনে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তার বৃদ্ধ বাবা আবদুল জলিলও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দফায় দফায় মূর্ছা যাচ্ছেন। কারণ ইদ্রিছের পরিবারে উপার্জনের আর কেউ নেই।
তার মৃত্যুতে পুরো পরিবার দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ইদ্রিছের স্ত্রী জানান, ইদ্রিছ জীবিকার সন্ধানে এক বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সংসারের জন্য খরচের টাকা পাঠাতেন। কিন্তু গত শনিবার তার এক সহযোগীকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস-আল-খাইমা প্রদেশের ওয়াদি শামস এলাকায় সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে গাড়িটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। সে সময় গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসেন ইদ্রিছ। গাড়িতে ভেসে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন তার ওই সহযোগীকে উদ্ধার করলেও মাটি ছুঁতে পারেননি মো. ইদ্রিছ। ভেসে আরব সাগরে তলিয়ে যান তিনি। ৬ দিন নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার দিকে আরব সাগরের ওমান সীমান্ত এলাকায় তার লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুলিশ শুক্রবার ভোরের দিকে তার লাশ উদ্ধার করে। ইদ্রিছের স্ত্রী আরো বলেন, তিনিই ছিলেন পরিবারের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। তার মৃত্যুতে আমি দিশাহারা হয়ে পড়েছি। দু’কন্যা সন্তান নিয়ে এখন আমি কোথায় যাবো। তাদের লেখাপড়ার খরচ আসবে কীভাবে? তার উপর অসুস্থ বৃদ্ধ শ্বশুর। তার চিকিৎসা কীভাবে চলবে। সবমিলিয়ে আমি চারদিকে অন্ধকার দেখছি। উল্লেখ্য, গত ১১ই জানুয়ারি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ দেশটির ১৪৫টি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর