× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে স্টলে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পিঠা বানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

স্টলে দাঁড়িয়ে পিঠা বানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সেলিনা মোমেনও। প্রথমে কড়াইয়ে তেলে ভাজা পিঠা নাড়ছিলেন স্ত্রী সেলিনা। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মন্ত্রী। এ দৃশ্য দেখে তিনিও ‘তাওয়ায়’ হাত লাগান। এরপর ভাজা হয়ে গেলে পিঠা নিজেই তুলে দেন উপস্থিত লোকদের হাতে। গতকাল সিলেটের জাতীয় পিঠা উৎসবে গিয়ে মন্ত্রী পিঠা তৈরি করেন। জাতীয় পিঠা উৎসব কমিটির উদ্যোগে সিলেটে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
চার দিনের এই আয়োজনের উদ্বোধন হয় গতকাল  সকালে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এক স্টলে পিঠা বানানোর দৃশ্য দেখে এগিয়ে যান। এবং স্ত্রীকে নিয়ে পিঠা বানান। তার পিঠা খেয়ে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। নগরীর রিকাবীবাজারস্থ জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রাঙ্গণের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উৎসবে বর্ণিলভাবে সজ্জিত স্টলে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠার সমারোহ। উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ। বাঙালির হাজার বছরের পিঠা ঐতিহ্যকে নগরজীবনে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ বিগত ১৩ বছর ধরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকায় জাতীয় পিঠা উৎসব আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর প্রথমবারের মতো এই উৎসব দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ঢাকার বাইরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যার প্রথম আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো পুণ্যভূমি সিলেটে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের সংস্কৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এখানে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের যে সংমিশ্রণ, সম্প্রীতি যা আমাদের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এই পিঠা উৎসবেও আমরা সেই সম্প্রীতি তুলে ধরবো। সিলেট সবসময়ই শান্তি, সম্প্রীতির নগরী। দল, মত, ধর্ম এবং বিভিন্ন সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে আমরা একসঙ্গে কাজ করি। এই জিনিসটা আমরা সবসময় ধরে রাখতে চাই। তিনি আরো বলেন, এ বছর আমরা মুজিববর্ষ এবং আগামী বছর মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবো, আমার প্রত্যাশা সারা দেশের তুলনায় এই দুটি অনুষ্ঠানকে ঘিরে সিলেটের যেন সারা দেশের মধ্যে অদ্বিতীয় হয়, অত্যন্ত সুন্দর হয়। এই আয়োজনে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তিনি করবেন বলেও আশ্বাস দেন। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আজিজ আহমদ সেলিম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর