× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘লক্ষ্মীপুর থেকে লাহোর’

খেলা

ইশতিয়াক পারভেজ
১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

ফোন রিসিভ করে পরিচয় শুনতেই উচ্ছ্বসিত কণ্ঠ হাসান মাহমুদের। বলেন, ‘আমি  তৈরি হচ্ছি, লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকায় যাবো।’ হ্যাঁ, ২০ বছরের তরুণ হাসান মাহমুদ প্রস্তুত হচ্ছেন লাহোর যাওয়ার জন্য। পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। শুধু বঙ্গবন্ধু বিপিএলেই নয়, এইচপি-তেও দারুণ করেছেন এই তরুণ। যদিও বিপিএলে হাসানের বোলিং পরিসংখ্যান দেখলে আহামরি কিছু মনে হবে না। ১৩ ম্যাচে তার শিকার ১০ উইকেট। ইকোনমি গড় ৯.২০। তারপরও এবারের বিপিএলে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় প্রাপ্তি মনে করা হচ্ছে তাকে।
মূল কারণ তার গতি। এই পেসার নিয়মিতই বল করেছেন ১৪০ কিলোমিটার গতিতে। এবার বড়মঞ্চে সুযোগ। লক্ষীপুর থেকে টেলিফোনে জীবনের নতুন স্বপ্নের কথা বলেছেন দৈনিক মানবজমিনের সঙ্গে। সেই কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: কেমন লাগছে?
হাসান: দারুণ লাগছে, আসলে ভাবতেও পারিনি হঠাৎ করেই এমন সংবাদ পাবো। এখন তৈরি হচ্ছি। ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছি ঢাকা যাবো। সেখান থেকেতো আমাকে লাহোর যেতে হবে। যদি মাঠে নামার সুযোগ আসে আরো ভালো লাগবে। আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত।
প্রশ্ন: পাকিস্তান নিয়ে কোনো ভয় কাজ করছে?
হাসান:  আরে না না, জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি সেটাই বড়। এখন যেখানেই খেলি না কেন আর যেখানেই নিয়ে যাক না কেন আমি যেতে রাজি। আরেকটা বিষয় হলো ভয় পেলে কোনো  দিন ক্রিকেট খেলা হবে না। আমি যাচ্ছি ক্রিকেট খেলতে। মাঠে নামার সুযোগ হলে আমার কাজটাই করবো। সেখানে আশে পাশে কি হচ্ছে তা নিয়ে আমার ভাবনা নেই।
প্রশ্ন: পরিবারের অনুমতি পেয়েছেন?
হাসান: হ্যাঁ, তারা এখন ভীষণ খুশি যে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। সে জন্য তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে না। তারা শুধু আমার জন্য দোয়া করছেন যেন মাঠে খেলতে পারি, ভালো করতে পারি।
প্রশ্ন: ক্রিকেট খেলা শুরু কবে থেকে?
হাসান:  লক্ষ্মীপুরেই ক্রিকেট খেলা শুরু। অনূর্ধ্ব-১৪ থেকে এলাকায় সুযোগ আসে। আমি পরিবারে সবার ছোট। আমরা চার ভাইবোন। আমার খেলা নিয়ে আপত্তি ছিল না পরিবারের। এরপর একের পর এক ধাপে ভালো করেছি বলে তারাও আর মানা করেনি। এইচপিতেও আমার সুযোগ হয়, সেখানে আমি ভালো করেছি। এবার বিপিএলে লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম কিন্তু খুব ভালো করতে পারিনি। তাই এভাবে সুযোগটা আসবে ভাবিনি। এখন পরিবারের ইচ্ছা আমি ক্রিকেটটা আরো ভালো করে চালিয়ে যাই।
প্রশ্ন: বোলিংয়ে আপনার মূল শক্তি কি?
হাসান: আমি আসলে অনেক জোরে বল করে পারি। এটাই আমার বড় অস্ত্র। এছাড়াও এক জায়গায় বল করা, ভেরিয়েশন দেয়ার চেষ্টা করি। আমি এখনো শিখছি, সামনে আরো অনেক কিছু শেখার আছে।
প্রশ্ন: ক্রিকেট খেলার পথে কোনো বাধা?
হাসান: না, না পরিবারের দিক থেকে কোন বাধা আসেনি। পড়া লেখাও চালিয়ে যাচ্ছি। হ্যাঁ, নিয়মিত করতে পারছি না। লক্ষ্মীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। একবারই মনে হয়েছিল আর কোনো দিন বুঝি খেলতে পারবো না! আমি ইনজুরিতে পড়েছিলাম অনূর্ধ্ব-১৬তে। তখন এক বছর খেলতে পারিনি।
প্রশ্নঃ লক্ষ্য কি?
হাসান: ক্রিকেট খেলে যাওয়া, সেটি যেখানেই হোক আর যে কোন পরিস্থিতিতেই হোক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর