মাঠের জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে বিরোধ। আর সে কারণেই জমিতে লাগানো মেহগনি গাছগুলো একেবারেই প্রকাশ্য দিবালোকে কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। এ কেমন শত্রুতা? গত শুক্রবার সকালে মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের মাঠে জাহাঙ্গীর কবীর মিঠুর জমিতে লাগানো মেহগনি গাছগুলো বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বলে জানান গ্রামবাসী। বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের শাহজামাল জানান, গত ৭ বছর পূর্বে জাহাঙ্গীর কবীর মিঠু জমিটি ক্রয় করেছেন। পরে ক্রয়কৃত জমিতে মেহগনি গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে জাহাঙ্গীর কবীর মিঠুর ক্রয়কৃত জমিতে ৬ বছর পূর্বে লাগানো মেহগনি গাছগুলো শুক্রবার সকালে বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের আজুব্বরের নির্দেশে একই গ্রামের আবদুল জলিল কেটে দিয়েছে। জাহাঙ্গীর কবীর মিঠু জানান, বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের আবু বক্করের কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেছিলাম। কিন্তু গ্রামের আবদুল জলিল জমিটি ক্রয় করতে না পেয়ে প্রতিহিংসার কারণে আমার জমিতে লাগানো সব মেহগনি গাছ কেটে দিয়েছে।
বাঁশবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান, আমি লোকমুখে গাছ কাটার খবর শুনেছি। তবে জমি নিয়ে দু’পক্ষের একটু ঝামেলাও রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জমি নিয়ে ঝামেলা থাকতেই পারে। সেটা দু’পক্ষ বসলেই সমাধান সম্ভব। কন্তু জমিতে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলা ঠিক হয়নি। জমির গাছ কাটার ঘটনায় জাহাঙ্গীর কবীর মিঠুর ছোট ভাই আলমগীর কবির বাদী হয়ে আবদুল জলিলকে আসামি করে মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।