× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুলিশ হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল মহম্মদপুর

বাংলারজমিন

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে মহম্মদপুর। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত   হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহম্মদপুরের হাজার-হাজার মানুষ। শনিবার সকাল ১০টায় বালিদিয়া বাজার থেকে কয়েক হাজার লোকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে  বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মহম্মদপুরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি  মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সমাজের মানুষ নৈতিকতাবোধ হারিয়ে পশুত্বে পরিণত হয়েছে। তা না হলে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন করে হত্যার ঘটনা ঘটতো না। দেশে আইনের শাসন যথাযথভাবে কায়েম করা গেলে এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এরপর বেলা ১২টার দিকে মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে  জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করেন তারা। বেলা ১টার দিকে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের নির্মমতার প্রতিবাদে প্রেস ক্লাব মহম্মদপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নিহতের পরিবার। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান নিহত আবু সাঈদের ছেলে মনির হোসেন মোল্লা।  মফিজ মিনহা ও তার সমর্থকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বালিদিয়া এলাকাবাসী। মফিজ মিনহা ও তার বাহিনীর অত্যাচার থেকে সমাজকে রক্ষা করতে এমন একজন হত্যাকারী ও হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক  করে তাদের ফাঁসির জোর দাবি জানান । হত্যার ঘটনার পরপরই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কালাম ও মোশারফ নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে মহম্মদপুর থানা পুলিশ। মহম্মদপুর থানার ওসি বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে এবং হত্যার সাথে জড়িত দুই আসামিকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এছাড়া খুনের সাথে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৩ই জানুয়ারি বালিদিয়া এলাকার নওশের শিকদারের বাড়ির সামনে থেকে কুপিয়ে ও  পিটিয়ে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য  আবু সাইদকে গুরুতর আহত করেন বালিদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ মিনহা, হাবিব, ইমরুল ও তার সমর্থকরা। পরে  তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আবু সাইদ  বালিদিয়া এলাকার মৃত ইসলাম মোল্লার ছেলে ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য।  বৃহস্পতিবার রাতে  মহম্মদপুর  থানায় হত্যর ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ওহিদুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে  আসামি করা হয় ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর