কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. আইয়াস (২৫) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। মিয়ানমার থেকে নৌকা যোগে ইয়াবা নিয়ে প্রবেশের সময় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন। আজ ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া শেকলঘেরা নাফনদী সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নৌকা তল্লাশি করে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও একটি কার্তুজের খালি খোসা জব্দ করা হয়েছে।
নিহত মো. আইয়াস উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ২ নম্বর ক্যাম্প ব্লক ডি-৪ এর বাসিন্দা মো. জামাল হোসেনের ছেলে।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, টেকনাফের জাদিমুড়া শেকলঘেরা এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান প্রবেশ করবে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে টহলদল ওই এলাকায় গিয়ে কৌশলগত অবস্থান নেয়। দূর থেকে কয়েকজন লোককে মিয়ানমারের লালদ্বীপ থেকে নৌকা নিয়ে নাফনদী পার হয়ে আসতে দেখে টহলদল।
নৌকাটি নদীর কিনারায় আসার সঙ্গে সঙ্গে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই নৌকায় আরোহী সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে। এতে তিন বিজিবি সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
উভয়পক্ষের মধ্যে ৫ থেকে ৬ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। গুলি করতে করতে পাচারকারী দলের অপর সদস্যরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কেটে শূণ্য রেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, গোলাগুলি থামার পর টহলদল নৌকাটি তল্লাশি করে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও এক রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার এক যুবককে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তার পকেটে থাকা পরিচয়পত্রে রোহিঙ্গা বলে শনাক্ত হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।