ইয়েমেনের মারিব শহরে এক সামরিক ঘাঁটিতে হুতি বিদ্রোহীদের এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬০ জনের বেশি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সৌদি আরবের রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দ্য হারেৎস।
খবরে বলা হয়, বিগত কয়েক আস অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকার পর ফের অশান্ত হয়ে উঠছে ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চল। মারিবের সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে এই হামলার আগে রাজধানী সানায় বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালিয়েছিল সৌদি সমর্থিত সরকারি বাহিনী। ওই হামলায় উভয়পক্ষে প্রাণ হারায় অন্তত ২২ জন।
শনিবার সেনা প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে হামলার পাশাপাশি সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই হয়েছে হুতি বিদ্রোহীদের। হোদেইদা বন্দরের দক্ষিণে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত সাত জন। সরকারি বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, নিহতদের মধ্যে দুই বেসামরিকও আছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, হামলায় আবাসিক এলাকাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হোদেইদায় দুই পক্ষের লড়াই জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় করা এক যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন। ইয়েমেনে মানবাধিকার ত্রাণ ও খাদ্য প্রবেশের প্রধান রাস্তা হোদেইদা বন্দর।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ত আব্দু রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী সানা দখন করে নেয় ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এখনো রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ তাদের দখলেই রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে হাদি সরকারের পক্ষে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো শুরু করে সৌদি আরব। তখন থেকে এক প্রাণঘাতী যুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেন। এখন পর্যন্ত এ যুদ্ধে মারা গেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩০ লাখের বেশি। দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে অনেকাংশে।