× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজারহাটে অপহৃত কলেজছাত্রী বগুড়া থেকে উদ্ধার

বাংলারজমিন

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার

১৯দিন পর কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ অপহৃত কলেজ ছাত্রী প্রতিমা রানী (১৭)কে বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে পুলিশ অপহরণের সাথে জড়িত যুবককে আটক করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। পুলিশ ও অপহৃতা কলেজ ছাত্রী প্রতিমা রানী জানান, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামের অমল চন্দ্র রায়ের কন্যা ও রাজারহাট সরকারী মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রতিমা রানী (১৭)কে কলেজের সামন থেকে গত ১লা জানুয়ারি সকাল ৯টায় অপহরণ করে। বাড়ি ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে তার পিতা বাদী হয়ে গত ৬ই জানুয়ারি রাতে রাজারহাট থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। কিন্তু দীর্ঘদিন অপহৃতা প্রতিমা রানীকে পুলিশ উদ্ধার করতে না পারায় বাড়ির লোকজন হতাশ হয়ে পড়ে। এদিকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ট্র্যাকিং করে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশও ব্যর্থ হয়। অবশেষে দীর্ঘ ১৯ দিন পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ১৮ই জানুয়ারি রাতে রাজারহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পবিত্র কুমারের নেতৃত্বে এসআই অনিল চন্দ্র, এএসআই নাছির, পুলিশ সদস্য খাদিজা বেগমসহ বগুড়া সদর থানা পুলিশের সহায়তায় বগুড়া চারমাথা গোদারপাড় উত্তরপাড়া আজিজার রহমানের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অপহৃতা প্রতিমা রানীকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ অপহরণকারী জিতু মিয়া (২৬)কে আটক করে রাজারহাট থানায় নিয়ে আসে।
আটক জিতু মিয়া আজিজার রহমানের ২য় পুত্র। ১৯শে জানুয়ারি সকালে পুলিশ অপহরণকারী জিতুকে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং অপহৃতা প্রতিমা রানীর  আদালতের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
উল্লেখ্য, প্রতিমা রানীর সঙ্গে ৩/৪ মাস আগে মোবাইল ফোনে ভুল নাম্বার বিনিময়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ কারণে অপহরণকারী জিতু মিয়া নিজেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর পরিচয় দিয়ে প্রতিমা রানীকে অপহরণ করে। অপহরণকারী জিতু মিয়া বলেন, এর আগে সে ওই এলাকায় ৪টি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে নির্যাতন করে ২ স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেয়। অপর ২ জনকে তালাক দেয়। এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম সদর সার্কেল এডিশনাল এসপি উৎপল কুমার রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিমা রানীকে উদ্ধার করা হয়েছে।  এছাড়া জড়িত অপহরণকারীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর