× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মতিনের জোড়া গোলে সেমিতে বাংলাদেশ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার

ঘরোয়া ফুটবলে বরাবর দুর্দান্ত মতিন মিয়া। বসুন্ধরার জার্সি গায়ে নিয়মিত গোল করছেন, করাচ্ছেন। কিন্তু মতিন জাতীয় দলে বরাবরই উপেক্ষিত। দুই বছরের ক্যারিয়ারে একটি মাত্র ম্যাচে একাদশে খেলার সুযোগ হয়েছে তার। মাঝে মধ্যে বদলি হিসেবে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না মতিন। যেমনটা করলেন গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।  তার অন্যবদ্য নৈপুণ্যেই শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জোড়া গোল করেন মতিন মিয়া। জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথমবার গোল পেলেন ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
অপর গোলটি এসেছে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পা থেকে। তবে বাংলাদেশের এই জয়ের দিনে বড় দু:সংবাদ হয়ে এসেছে তপু বর্মণের লালকার্ড। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন জামাল ভূঁইয়ার পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া এই ডিফেন্ডার। তাকে ছাড়াই আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বুরুন্ডির মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ।    
চোটের কারণে একাদশে ছিলেন না জামাল ভূঁইয়া। তার জায়গায় কাল জাতীয় দলে অভিষেক হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর হোল্ডিং মিডফিল্ডার মানিক মোল্লার। মাঝমাঠে তার সঙ্গে ছিলেন সোহেল রানা। ফিলিস্তিন ম্যাচে স্ট্রাইকিং পজিশনে খেলা সাদউদ্দিন এদিন নিজের রাইট উইং পজিশনে খেলেছেন। লেফট উইংয়ে ছিলেন মোহাম্মাদ ইব্রাহিম। রক্ষণভাগেও বড় পরিবর্তন ছিল একাদশে। সেন্টারব্যাক ইয়াসিন খান জ্বর নিয়ে ক্যাম্প ছেড়ে গেছেন। তার জায়গায় এদিন মাঠে নামেন রিয়াদুল হাসান রাফি। রায়হান হাসানের জায়গায় রাইটব্যাকে বিশ্বনাথ ঘোষ। মামুনুলের জায়গায় খেলেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। আর লেফটব্যাক রহমত মিয়া। গোলরক্ষক যথারীতি আশরাফুল ইসলাম রানা। ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে একাদশে চারটি পরিবর্তনই শুধু নয়, কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল থেকে বের হয়ে এসে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় বাংলাদেশ। জয়ই যেখানে শেষ কথা, সেখানে আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিকল্পও ছিল না বাংলাদেশের। সে কারণেই দুই স্ট্রাইকার মাহবুবুর রহমান সুফিল ও মতিন মিয়াকে নিয়ে ৪-৪-২ ফরমেশনে মাঠে নামে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ এর সুফল পায় ম্যাচের শুরুতেই। ১৭তম মিনিটে অভিষিক্ত মানিক মোল্লার লম্বা ক্রসে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেন মতিন মিয়া। ২২ মিনিটে মতিনের বাড়ানো বলে বক্সে ঢোকেন ইব্রাহিম, ফাঁকায় দাঁড়ানো মাহবুবুর রহমান সুফিলকে না দিয়ে পোস্টে মারেন এই মিডফিল্ডার। যা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষের হাতে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচে বেশ কয়েকবারই এই কাজ করেছেন ইব্রাহিম। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে সতীর্থদের বাড়ানো বলে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মতিন। মাঝমাঠে লঙ্কান ডিফেন্ডার সুপেনের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে দারুণ এক গোল করেন বসুন্ধরা কিংসের এই ফরোয়ার্ড। তিন চারটি সহজ সুযোগ নষ্ট করার পর গোলের দেখা পান মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বদলী খেলোয়াড় রাকিবের বাড়ানো বলে গোল করেন বসুন্ধরা কিংসের এই ফুটবলার। তিন গোলে এগিয়ে থাকার ম্যাচে সবচেয়ে বড় ক্ষতি তপু বর্মণের লাল কার্ডে।
এর আগে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফিলিস্তিন। ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে বুরুন্ডি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর