২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারার অপব্যবহারের মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তিকে হয়রানি করার সুযোগ রয়েছে এমন চারটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আল জাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্ট, ভয়েস অব বাংলা, দ্য ডেইলি স্টারসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটে এসব ধারায় যে সকল শাস্তি রয়েছে তা বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে। রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাংবাদিকসহ মোট ৮ জনের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট আবেদন করেন।
রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে আইনটির ধারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করেছে বলে উল্লেখ করেছেন। রিট আবেদনে দুটি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারাসমূহ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। দ্বিতীয়ত, আদালতের প্রতিষ্ঠিত নীতি হলো- অপরাধের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করতে হয়।
কিন্তু এসব ধারাসমূহে সুস্পষ্টভাবে অপরাধ সমূহকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ফলে এসব ধারার অপব্যবহারের মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তিকে হয়রানি করার সুযোগ রয়েছে। আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
রিটকারীরা হলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন, মো. আসাদুজ্জামান, মো. জোবাইদুর রহমান, মো. মহিউদ্দিন মোল্লা ও মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল, ড. মো. কামরুজ্জামান ও ড. মো. রফিল ইসলাম