× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাহরাস্তিতে পুত্রের হাতে প্রাণ গেলো পিতার

অনলাইন

শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২০, ২০২০, সোমবার, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ছেলের হাতে প্রাণ গেলো জন্মদাতা পিতার। রোববার রাতে উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউপির শ্বেতী নারায়নপুর গ্রামের বড় বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ, হামলার শিকার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত. আবদুর রহিমের পুত্র চেরাগ আলীর (৭০) ৩ সন্তানের মধ্যে আকবর আলী (৪০) সবার বড়। তিনি ১৮ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এরই মধ্যে গত ১৩ বছর পূর্বে মানসিক অবস্থা একটু ভালো দেখে জয়নগর গ্রামের নাপিত বাড়ির নাজমুন নাহার নাজুর (২৮) সঙ্গে আকবরকে বিয়ে দেন স্বজনরা। তাদের ঘরে একটি ছেলে ও মেয়ে জন্ম নেয়।

কিছুদিন পরে আবারও  আকবরের অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয়। পরে তার আচরণে অতীষ্ঠ হয়ে স্ত্রী নাজু ২ বছর আগে ছেলে (৮) ও মেয়েকে (১০) নিয়ে ঢাকায় চলে আসে।
সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি  নেয়। এ অবস্থায় আকবরের অস্বাভাবিক আচরণ আরও বেড়ে যায়।

তার মেজো ভাই জাফরের স্ত্রী হাসিনা আক্তার জানান, আকবর প্রায় তার মা-বাবাকে প্রচণ্ড মারধর করতো। সম্প্রতি তাকেও তুচ্ছ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। পিতা চেরাগ আলী তার পুত্রের অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে দুই মাস পূর্বে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটে আকবরকে মানসিক রোগের চিকিৎসা করান। তখন তার অবস্থা একটু উন্নতি দেখে স্বজনরা বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। কিছুদিন গড়াতেই আকবর আবারও স্বরূপে ফিরে যায়।  রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পিতা চেরাগ আলীর সঙ্গে আকবর দুর্ব্যবহার করলে তিনি পুত্রকে মানুসিক চিকিৎসা করানোর  কথা বলেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিতা চেরাগ আলী ও মা ফুলমতি বেগমকে (৬৫) কুপিয়ে জখম করেন। এতে ঘটনাস্থলেই চেরাগ আলী নিহত হন।

স্থানীয়রা মা ফুলমতি কে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে ডাক্তার সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর