× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চুরির অপবাদে কিশোরকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

বাংলারজমিন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নিরব হোসেন নামে এক কিশোরকে নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্যাতনের পর গলায় জুতার মালা ও ঝাড়ু পরিয়ে উল্লাস করার অভিযোগ ও উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরের নানী বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও তুলে ছেড়ে দেয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। যা এখন ভাইরাল।
সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কিশোর নিরব হোসেনকে নির্যাতনের ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত রাশেদ ও ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ দিকে সোমবার দুপুরে ঝাড়ু ও জুতার মালা গলায় পড়িয়ে কিশোরকে এলাকায় ঘুরানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় জুড়ো সমালোচনার ঝড় উঠে। অপরদিকে শনিবার বিকেলে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে নিজ কর্মরত দোকান থেকে টাকা চুরি হয়।
এরপর চুরির অপবাদ দিয়ে কিশোর নিরব হোসেনকে খুঁিটর সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায় দোকানদার রাশেদ ও কামাল কসাই এবং ইসমাইল হোসেন কসাইসহ অন্যরা। এরপর নিরব হোসেনের গলায় জুতার মালা ও ঝাড়ু পরিয়ে ঘুরানো হয়। নির্যাতনের পর তাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পরে ওইদিন রাতে সালিশ বৈঠকের কথা বলে থানা থেকে ছেড়ে নিয়ে আসে দোকানদার। এক পর্যায়ে রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ গ্রাম্য মাতব্বররা বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু নানী আলেয়া বেগম এতিম ওই কিশোরের দায়িত্ব নিতে রাজি না হওয়ায় আবারও হট্টগোল শুরু হয়। দ্বিতীয়বার আবারো ওই কিশোরকে মারধর করে তারা। রাতে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভতি করা হয়। এদিকে গত ৬ মাস ধরে মৃত কিরন হোসেনের ছেলে নিরব হোসেন স্থানীয় রাশেদের চামড়ার দোকানে শ্রমিকের কাজ করতেন। এর মধ্যে তার মাকেও হারান নিরব। দোকানে মাসিক শ্রমের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ করেন নিরব হোসেন। এত কষ্ট করেও পারিশ্রামিক না পাওয়ায় মালিকের অগোচরে নিজের পাওনা টাকাই নিয়ে নেন বলে দাবি করেন কিশোর নিরব। এতে মালিক ক্ষিপ্ত হয়ে চুরির অপবাধ দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। তবে দোকান মালিক রাশেদ বলছেন, নিরব হোসেন তার ক্যাশ থেকে কিছু টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এতে নিজেও এলাকাবাসী তাকে শাস্তি হিসেবে ঝাড়ু ও জুতার মালা পরিয়ে দেন ও সালিশ বৈঠকে স্থানীয় কাউন্সিলর ও মাতাব্বররা তার ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে স্থানীয় কাউন্সিলর শিপন ও সালিশদার ইসমাইল হোসেন এবং রাশেদ ঝাড়ু ও জুতার মালা পরিয়ে দেয়ার ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন বলে দায় এড়িয়ে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর