সাভারের আশুলিয়ায় পৃথক স্থান থেকে এক নবজাতকসহ, নির্মাণ শ্রমিক ও এক নারী পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে পৃথক দুটি ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার রাতে আশুলিয়ার নিরিবিলি, গাজিরচট ও পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে নিহত নির্মাণ শ্রমিক মমিনুর রহমান (৪৫) কুড়িগ্রাম জেলার সদর থানা এলাকার বালাপুর গ্রামের মৃত অলি মাহমুদের ছেলে, নিহত নারী শোশাক শ্রমিক শাহানাজ আক্তার (১৬) শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মিয়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের মেয়ে। সে গাজীরচট আড়িআড়া মোড় এলাকার ফজলু বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় আনজিরা গার্মেন্টে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। থানা পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকার স্বপ্ন বিলাস প্রজেক্টের সপ্তম তলা বিশিষ্ট একটি নির্মাণাধীন ভবনে সাটারিংয়ের কাজ করছিলেন নির্মাণ শ্রমিক মমিনুর রহমান। এসময় চতুর্থ তলা থেকে অসতর্কতাবশত সে নিচে পড়ে যায়। পরে তার সহকর্মী অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মমিনুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে তার লাশটি উদ্ধার করে সোমবার ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে পৃথক ঘটনায় রোববার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট এলাকার একটি বাড়া বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে শাহানাজ আক্তার নামে নারী পোশাক শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই তরুণী পরিবারের সাথে অভিমান করে নিজ কক্ষের সিলিংয়ের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এছাড়া আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকার একটি নালা থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ না থাকায় লাশটি স্থানীয়দের তত্ত্বাবধানে দাফন করা হয়। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।