× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাঁচ লাখ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করছে ‘আশা’

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২১ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তা ও স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধে দেশের শীর্ষ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আশা’ সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলায় ১২৫০টি আশা ব্রাঞ্চের ১৮ হাজার ৯৫০টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী এই কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৯টি আশা ব্রাঞ্চের ২৮৫টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৮ হাজার ৪৬৫ জন শিক্ষার্থী এই সুবিধার আওতায় এসেছে। সোমবার কিশোরগঞ্জে জেলার ২৮৫টি শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষা সেবিকাগণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সেবিকা সম্মেলন ও কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। শহরতলীর মোল্লাপাড়া এলাকার নেহাল গ্রিন পার্ক মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই শিক্ষা সেবিকা সম্মেলন ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে আশা’র জয়েন্ট ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মো. গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক ও স্থানীয় দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ। অন্যদের মধ্যে আশা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সিনিয়র এডুকেশন অফিসার মো. জসীম আহমেদ, আশা’র ময়মনসিংহ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার শ্যামল কুমার ধর, কো-অর্ডিনেটর মীর্জা সাইফুল ইসলাম, এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. সাহেদ আলী, কিশোরগঞ্জের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো. আতাউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তৃতায় আশা’র জয়েন্ট ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, একজন শিক্ষা সেবিকার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষা কেন্দ্রের পাঠদান পরিচালনা করা হয়। আশা পরিচালিত এসব শিক্ষা কেন্দ্রে শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। এবার পাইলটভিত্তিতে ৬০টি ব্রাঞ্চের ৯শ’টি শিক্ষা কেন্দ্রে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আশা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তিনি আরো জানান, আশা ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি’ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে আশা’র সদস্যদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সহায়তা দেয়া হবে। শিক্ষা সেবিকা সম্মেলন ও কর্মশালায় কিশোরগঞ্জ জেলার ২৮৫টি শিক্ষা কেন্দ্রের ২৮৫ জন শিক্ষা সেবিকা ছাড়াও সুপারভাইজার, শিক্ষা অফিসার এবং আশা’র ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগণ অংশ নেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর