× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মেসির গোলে শুরু ‘সেতিয়েন অধ্যায়’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২১ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

বার্সেলোনার নতুন বস কিকে সেতিয়েনের ‘আইডল’ কিংবদন্তির কোচ ইয়োহান ক্রুয়েফ। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে ১৯৭৩ সালে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচে ক্রুয়েফের দলের প্রতিপক্ষ ছিল গ্রানাদা। ওই ম্যাচে জোড়া গোল নিয়ে বার্সাকে ৪-০ ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছিলেন ডাচ তারকা। বার্সেলোনার নতুন কোচ সেতিয়েনের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টটা ছিল গ্রানাদারই বিপক্ষে। আর জয় দিয়েই ‘বার্সেলোনা অধ্যায়’ শুরু করলেন স্প্যানিয়ার্ড কোচ কিকে সেতিয়েন। রোববার স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে প্রায় ৮৩ শতাংশ বলদখল রেখেও স্বস্তি ছিল না কাতালান জায়ান্টদের। নিজ মাঠে  ১০০৫টি পাস খেলে প্রতিপক্ষের গোলমুখে তারা শট নেয় ১৮টি। এর মধ্যে অন টার্গেটে ছিল ৬টি।
এতে কাজের কাজটি হচ্ছিল না সেতিয়েনের দলের। তবে খেলা শেষের ২৪ মিনিট আগে বার্সেলোনা ও নতুন কোচকে স্বস্তির একমাত্র গোল এনে দেয় ওই লিওনেল মেসি। এতে গ্রানাদার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করে এফসি বার্সেলোনা। আসরে ২০ ম্যাচে সমান ৪৩ পয়েন্ট সংগ্রহ বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের। গোল ব্যবধানে এগিয়ে বার্সা। তৃতীয় স্থানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সংগ্রহ ৩৫ পয়েন্ট।
২০০৫/০৬ মৌসুমের পর মাত্র তৃতীয়বারের মতো স্প্যানিশ লা লিগার কোনো ম্যাচে ১০০০’র বেশি পাস খেললো বার্সেলোনা। ২০১১তে পেপ গার্দিওলার পর কোনো কোচের অধীনে খেলা ম্যাচে এটি বার্সার সর্বোচ্চ বল পজেশন। সেবার লেভান্তের বিপক্ষে ৮৪% বলদখল ছিল কাতালান জায়ান্টদের। গ্রাদানার বিপক্ষে বার্সেলোনার ১০০৫টি পাসের মধ্যে ৯২১টি পাসই ছিল ভালো। চলতি মৌসুমে কোচ ভালভার্দের অধীনে বার্সা সর্বোচ্চ ৭৮৮টি পাস খেলে বেতিসের বিপক্ষে। চলতি মাসেই স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হারের পর কোচ ভালভার্দেকে বরখাস্ত করে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ।
রোববার ন্যু ক্যাম্প মাঠে ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে লাল কার্ডের কারণে ১০ জনের দলে পরিণত হয় গ্রানাদা। আর ৭৬তম মিনিটে বার্সার জয়সূচক একমাত্র গোল আদায় করেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। চলতি লা লিগায় এটি মেসির সর্বোচ্চ ১৪তম গোল। সবমিলিয়ে ২১ ম্যাচে ১৭তম। গ্রানাদার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার স্প্যানিয়ার্ড হোল্ডিং মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটস বলেন, ভালো লাগছে কারণ আমরা আক্রমণে ও রক্ষণে দৃঢ় ছিলাম। আমরা ম্যাচের আগাগোরা বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ দল রক্ষণাত্মক খুব নিচে নেমে খেলছিল, যে কারণে গোল মুখ খুলতে সমস্যা হচ্ছিল আমাদের। আমি নিশ্চিত একটু একটু করে আমরা আরো উন্নতি করবো। এদিনের ম্যাচসেরা নৈপুণ্যটা ছিল বুসকেটসেরই। ম্যাচে ১৫৭টি পাস আদান-প্রদান করেন বুসকেটস। যার ১৪৫টি ছিল নির্ভুল পাস। নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে কোপা দেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনালে ডেপোর্টিভো ইবিজার বিপক্ষে খেলবে বার্সেলোনা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর