× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শারপিন টিলায় হাওরের পানি ছেড়ে প্রতিরোধ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার

প্রায় দেড় মাস আগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শারপিন টিলার সব রাস্তা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দিয়েছিলো প্রশাসন। উদ্দেশ্য ছিলো ‘মানুষখেঁকো’ শারপিন টিলায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া। কিন্তু এতে সফলতা আসেনি। বিকল্প পথ খুঁজে পায় পাথরখেঁকোরা। তারা রাতের আঁধারে বিকল্প শ’ শ’ ট্রাক্টর দিয়ে পাথর সরবরাহ করে। দিনে ট্রাক্টর চলে না। তবে দিনে সচল থাকে কোয়ারি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোয়ারির নিয়ন্ত্রকরা হয়ে উঠে বেপরোয়া।
পানি সেচার লিস্টার মেশিন দিয়ে গর্ত খুঁজে তাতে শ্রমিক নিয়োগ করে। হাজারো শ্রমিক শারপিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলনে নিয়োজিত রয়েছে। এই অবস্থায় চলছিলো শারপিন টিলা। কিন্তু সোমবার ঘটে বিপত্তি। স্থানীয় আইয়ূব আলীর গর্তে পড়ে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় ফের আলোচনায় এসেছে শারপিন টিলা। সরব হয়েছে প্রশাসন। গতকাল টানা ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পুলিশ জানায়- শারপিন টিলায় পাথর উত্তোলন করে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে। বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। এসব গর্তে শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্যের নির্দেশে শারপিন টিলার দুটি স্থানে বাঁধ কেটে পানি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। টিলার উত্তর দিকে আইয়ূব আলীর গর্ত। এই গর্তের পাশেই ছিলো বিলের পানি। সে পানি বাধ দিয়ে আটকিয়ে পাথর তোলা হচ্ছে। অভিযানকালে শ্রমিক নিয়োগ করে বাধের দুটি স্থান কেটে হয়। এরপর হু হু করে দুটি স্থানে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে নিচু গর্ত পানিতে ভর্তি হয়ে যায়। এতে করে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এছাড়াও শারপিন বাজারের কাছাকাছি এলাকা বশরের বাড়ির পাশবর্তী স্থানে পানি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের ওসি সজল কুমার কানু বলেছেন- যৌথ টাস্কফোর্সের অধীনে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিজিবি, পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও সুমন আচার্য অভিযান শেষে জানান- সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত  শাহ আরেফিন টিলায় বাঁধ কেটে পানি দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ডুবানো হয় ২২টি কোয়ারী এলাকা, ধ্বংস করা হয় ২৮টি লিস্টার মেশিন, ৭০০০ ফুট পাইপ, এবং ৩টি ট্রাক্টর এর চাকা ফুটো করা হয়। এছাড়া পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জামাদিও ধবংস করা হয়। মোট ধ্বংসের পরিমাণ আনুমানিক ৪ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন- শারপিন টিলার শতাধিক গর্ত থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে পাথর উত্তোলন চলছে। তবে- নেই বোমা মেশিনের তাণ্ডব। যে মেশিন লাগানো হচ্ছে সেটি হচ্ছে পানি সেচার মেশিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর