× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনাভাইরাস: উহানে ভ্রমণ সতর্কতা জারি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২২, ২০২০, বুধবার, ৫:১২ পূর্বাহ্ন

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে উহানে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। শহরটিতে প্রবেশ ও সেখান থেকে বাইরে ভ্রমণ না করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু এই শহর। এখান থেকেই এর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এর আক্রমণে মারা গেছেন নয় জন। সংক্রমিত হয়েছেন আরো চার শতাধিক। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, কেবল উহানে প্রবেশ ও সেখান থেকে প্রস্থান ছাড়া শহরের ভেতরে চলাফেরা সীমিত করতেও আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভীড় এড়িয়ে চলতে ও জমায়াত কমাতে বলা হয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপমন্ত্রী লি বিন বুধবার বলেন, মূল কথা হচ্ছে, উহানে যাবেন না। আর যারা উহানে আছেন তারা শহর ছেড়ে বের হবেন না। ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরুর পর এটাই চীনা কর্তৃপক্ষের প্রথম সরকারি নির্দেশ।

উহান থেকে চীনের একাধিক প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪০ জনে পৌঁছেছে। উহানের এক সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই এর উৎপত্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজারটিতে অবৈধভাবে বন্য প্রাণী বেচাকেনা হতো।

প্রথমে চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও চীনা স্বীকার করেছে যে, ভাইরাসটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর আগের সপ্তাহে তারা জানায়, ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাসটির বৈজ্ঞানিক নাম ২০১৯-এনসিওভি। এটাকে নতুন ধরণের করোনাভাইরাস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে মানুষের শরীরে এর অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। এর আগে এই শতকের শুরুর দিকে চীনে উৎপত্তি হওয়া অপর এক করোনাভাইরাস ‘সারস’ এ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০০ মানুষ মারা যায়। তাই নতুন ভাইরাসটি নিয়েও বিশ্বব্যাপি উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে তা জাপান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও জাপানেও ছড়িয়ে পড়েছে।

নতুন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো হচ্ছে জ্বর, কাশি, শ্বাস গ্রহণে সমস্যা, দম ফুরিয়ে যাওয়া সহ অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যা। লি বিন বলেন, ভাইরাসটি মূলত শ্বাস-প্রশ্বাস্বের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে। বিশেষ করে, কাশি ও হাঁচির মাধ্যমে এটা বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

কিন্তু এখনো ভাইরাসটির মূল উৎপত্তিস্থল আবিষ্কার করতে পারেনি চীন। বিন বলেন, ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে এটি বিবর্তিত হয়ে আরো বড় আকারের মহামারী সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সং¯পর্শে এসেছেন অন্তত ২ হাজার ১৯৭ জন। এর মধ্যে উহানের ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যেও রোগটির সংক্রমণ ঘটেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর