× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রেসপাড়া বিরামহীন

প্রথম পাতা

আল আমিন
২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

সাব্বির আহমেদ। ফকিরাপুলের আনন্দ প্রেস অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের শ্রমিক। দুই সপ্তাহ ধরে তার কোনো ফুরসত নেই। তিনদিন ধরে বাসায় যেতে পারছেন না অতিরিক্ত কাজের চাপে। ওভার টাইমে পাচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে ফকিরাপুলের ছাপাখানাগুলোতে বাড়ছে ব্যস্ততা। নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন তৈরি করে সাঁটানো কিংবা টানানো হয়েছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে প্রেসপাড়াই ততই ব্যস্ততা বেড়েছে।
চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে ইতোমধ্যে ছাপাখানা মালিকরা কাগজ, কালিসহ বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে রেখেছেন।

এ সুযোগে বাজারে এসব উপকরণের দামও বেড়ে গেছে। পোস্টার, ব্যানারের পাশাপাশি এবার ডিজিটাল পোস্টার, ব্যানারও বেশ চলছে। এ কারণে প্রেস মালিকরা ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে এসেছেন। তারা এখন ডিজিটাল ও সাধারণ সব ধরনের কাজই করতে পারছেন। রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুল প্রেস পাড়া ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফকিরাপুলের সুমন প্রেসের মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, মনোনয়নের দৌঁড়ে টিকতে নেতাকর্মীরা আগে থেকেই নিজেদের প্রচারের জন্য এক দফা পোস্টার তৈরি করে প্রচার কার্যক্রম চালিয়েছেন। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ ও সিডিউল ঘোষণার পর কাজের ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। তিনি জানান, প্রার্থীরা শুভেচ্ছা ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন তৈরি করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে লাগিয়েছেন ছবি সংবলিত স্টিকার। এছাড়া শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি করে সেগুলো দিয়েও চলছে প্রচার।

আজিজ প্রিন্টিং প্রেসের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আমরা এখন অর্ডারের কাজ করছি। শ্রমিকেরা দিন রাত কাজ করছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কাজের গতি কমে আসবে বলে জানান তিনি।

সূত্র জানায়, নির্বাচন উপলক্ষে পোস্টার ছাপানোর বিষয়ে প্রেস পাড়ায় আগাম প্রস্তুতি ছিল। ইতিমধ্যে পোস্টার তৈরির জন্য পর্যাপ্ত কাগজ, বিভিন্ন ধরনের রং ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করে রেখেছিল। এখন অর্ডারি মাল বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। যেখানে এক মাস আগে বিভিন্ন দোকানের ক্যাশমেমো, ভিজিটিং কার্ড বানানোর কাজ করতে হতো, এখন সিটি নির্বাচনের জন্য পোস্টার ও স্টিকার বানানো হচ্ছে।

 এবারের সিটি নির্বাচনে রঙ্গিন পোস্টার না থাকলেও প্রার্থীরা বিভিন্ন ডিজাইনের পোস্টার ছেঁপে তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় লাগাচ্ছেন। এতে দামও নেয়া হচ্ছে চড়া। তবে গত বছরের চেয়ে এবারের ডিজিটাল ব্যানারের  চাহিদা বেশী। প্রার্থীরা বড় বড় ব্যানার সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। প্রেস মালিকরা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সাইজে সাদাকালো পোস্টার ছাপতে নির্ধারিত দামই নেয়া হচ্ছে। তবে কাগজের মান ভেদে খরচ কিছুটা কম বেশি হচ্ছে। পোস্টারের পাশপাশি কর্মীদের ব্যাজ, স্টিকার, ভোটার লিস্ট, ভোটার স্লিপসহ নানা ধরণের উপকরণের ছাপার কাজও চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর