× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘এই খোঁজার শেষ হবে কিনা জানি না’

বিনোদন


২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

লালন সাঁইয়ের গান মানেই মাটির গান, শেকড়ের গান। তার গান বাস্তব জীবনের কথা বলে। লালনের গানে খুঁজে পাওয়া যায় মাটি, মানুষ, প্রকৃতি, সৃষ্টিকর্তা ও বাস্তব চিত্রকে। লালন সাঁইয়ের অনুসারীদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বাউল গানের উজ্জ্বল নক্ষত্র শফি মন্ডল। নিজের গানে বিশ্বের কোটি লালন ভক্তের তৃষ্ণা মিটিয়ে চলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, লালনের গানকে তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও। তাইতো এ ধারার গানের গুরুও বলা হয়ে থাকে তাকে। গানে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
এখনো একই উদ্যমে গান করে যাচ্ছেন। নিজের গান, ক্যারিয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন শফি মণ্ডল। লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন।

কেমন আছেন?
আল্লাহর রহমতে ও সবার দোয়ায় ভালো আছি।

আপনার ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?
সেটাও আল্লাহ মালিকের ইশারায় বেশ ভালো চলছে। আমি নিজের মতো করে গান করে যাচ্ছি।

আপনি গানের জগতে এসেছেন কিভাবে?
পথ চলতে চলতেই গানের জগতে আসা। আমার পরিবেশটা গানের জন্য অনুকূল ছিল না। এর প্রধান কারণ হলো আমার পরিবারে কেউ গান করতেন না। কিন্তু আমাকে গানের জগত খুব টানতো। সব সময় গানের জন্য ব্যাকুলতা কাজ করতো। সে সময় নিজে নিজে গান করার চেষ্টা করতাম। আমার গ্রামে সাত্তার হোসেন নামের একজন মাটির গান করতেন। তার কাছ থেকেই আমি প্রথম গান শিখি। এখন তিনি নেই। চলে গেছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। তিনি চলে যাওয়ার পর আমি লালনের গান শুরু করি। এক্ষেত্রে অবস্থা অনুকূলে না থাকলেও আমার বাবা ও আমার সহধর্মিনী সব থেকে বেশি সহযোগিতা করেছে। এভাবে প্রতিকূলতা ডিঙিয়েই আমার গানে শুরু।

গানের তো অনেক ধারাই আছে। লালনের গানকেই কেন বেছে নিলেন?
সত্যি বলতে আমি সুফি থেকে বাউল হয়েছি। লালনের গানতো জীবনের কথা বলে, মানুষের কথা বলে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এই সত্য বাণী বাউল গানের মধ্য সব থেকে বেশি বলা হয়। লালনের গানেও সেই বাণীই ফুটে  উঠেছে। এ কারণেই লালনের গান গাই। আমি একজন বাউল হিসেবে গর্বিত। বাউলরা প্রকৃতপক্ষে ধনী। কারণ তাদের চাহিদা অনেক কম। তবে এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, ধনী আমার হওয়া হয়ে উঠেনি তেমন। সেটা রুটি রুজির জন্য। আমি সংসার বিয়োগী হতে পারিনি। আমার বয়স যখন ৩৩, তখন লালন সাঁইজীর অনুসারী হই। আমি পথ চলতে চলতে হঠাৎ একদিন লালনের জগতে প্রবেশ করি। এই জগত আমাকে এমন ভাবে আকড়ে ধরলো যে, সেখান থেকে আর বের হতে পারিনি। আমার সত্ত্বা জুড়েই কেবল লালন। আমি এখনো বাউলের আত্মাকে খুঁজে চলেছি। এই খোঁজার শেষ হবে কিনা জানি না।

সার্বিকভাবে গানের জগতটা এখন কেমন মনে হয় আপনার কাছে?
এখন অবস্থা ভালো ও খারাপ দুটি মিলিয়ে। আসলে প্রতিকূলতার মাঝেই লালন সাঁইজি গান করে গেছেন। গান আসলে মনে থাকে। সেটা যদি হয়, তবে গানের অবস্থা সব সময়ই ভালো।

এখন কি কাজ করছেন?
স্টেজে গান করছি। চলতি মাসেও স্টেজ শোর ব্যস্ততা রয়েছে অনেক। তাছাড়া বেশ কিছু গান করেছি, যেগুলো সামনে প্রকাশ হবে।  
এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে আমার পরিবার। আমার বড় মেয়ে কলেজের একজন শিক্ষিকা। ছেলে একজন ব্যাংকার। আর ছোট মেয়ে গৃহিনী। তার স্বামী একজন সরকারী চাকুরীজীবি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর