এক্সক্লুসিভ
বুড়িগঙ্গা দূষণ
ওয়াসা এমডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
স্টাফ রিপোর্টার
২০২০-০১-২৪
বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ রোধে দেয়া আদেশ অমান্য এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার জন্য ওয়াসার এমডি মো. তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন । বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম। শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সানজিদা খানম। ওয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উম্মে সালমা। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে আদালতের রায় ও আদেশ বাস্তবায়ন না করা, অসত্য তথ্য দিয়ে আদালতের স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটানোর কারণে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করা হয়েছে।
২০১০ সালে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ বন্ধের জন্য একটি রিট পিটিশন করেছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে আদালত ছয় মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গার ভেতরে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসচার্জ লাইনগুলো (শিল্পবর্জ্য নিঃসরণ লাইন) আছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে ওয়াসার এমডির প্রতি নির্দেশ দেন। ২০১৪ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্ত কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। তখন শিল্প মালিক সমিতি আদালতে এসে স্থগিতাদেশ নিলে আপিল বিভাগে শুনানি হয়। ২০১৬ সালে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এর তিন বছরেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা ফের আবেদন করি। কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় গত জুলাই মাসে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনি। তখন আদালত তাদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সময় দিয়েছিলেন। তারা প্রতিবেদন দিয়ে জানান, ওয়াসার কোনো লাইন বুড়িগঙ্গায় নেই। পরে বিআইডব্লিউটিএ প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, ৬৮টি লাইন আছে বুড়িগঙ্গায়। এরমধ্যে ওয়াসারই আছে ৫৮টি। এরপর আদালত এক আদেশে অসত্য তথ্য দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে জানতে চান এবং আদালতের নির্দেশ পালনে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেন। এরপর ২-৩ বার তারা প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু কোনো প্রতিবেদনে আদালতের নির্দেশ পালনের পদক্ষেপ তারা দেখাতে পারেননি। সিদ্ধেশ্বরী, মোহাম্মদপুর ও কলাবাগানে ওয়াসার নিয়মিত কাজের ছবি দেখিয়েছেন তারা। এসব কারণে আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
২০১০ সালে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ বন্ধের জন্য একটি রিট পিটিশন করেছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে আদালত ছয় মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গার ভেতরে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসচার্জ লাইনগুলো (শিল্পবর্জ্য নিঃসরণ লাইন) আছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে ওয়াসার এমডির প্রতি নির্দেশ দেন। ২০১৪ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্ত কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। তখন শিল্প মালিক সমিতি আদালতে এসে স্থগিতাদেশ নিলে আপিল বিভাগে শুনানি হয়। ২০১৬ সালে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এর তিন বছরেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা ফের আবেদন করি। কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় গত জুলাই মাসে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনি। তখন আদালত তাদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সময় দিয়েছিলেন। তারা প্রতিবেদন দিয়ে জানান, ওয়াসার কোনো লাইন বুড়িগঙ্গায় নেই। পরে বিআইডব্লিউটিএ প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, ৬৮টি লাইন আছে বুড়িগঙ্গায়। এরমধ্যে ওয়াসারই আছে ৫৮টি। এরপর আদালত এক আদেশে অসত্য তথ্য দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে জানতে চান এবং আদালতের নির্দেশ পালনে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেন। এরপর ২-৩ বার তারা প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু কোনো প্রতিবেদনে আদালতের নির্দেশ পালনের পদক্ষেপ তারা দেখাতে পারেননি। সিদ্ধেশ্বরী, মোহাম্মদপুর ও কলাবাগানে ওয়াসার নিয়মিত কাজের ছবি দেখিয়েছেন তারা। এসব কারণে আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।