× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণায় ৫ বার হামলা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

গত ১২ই জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেরুন নেছার বাসা ও নির্বাচনী অফিসে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরপর পাঁচ বার হামলা হলেও এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা। ১২ই জানুয়ারি প্রথম দফায় রোববার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর প্রার্থীর ওয়ারীর বাসায় ও অফিসে এ হামলা চালানো হয়। বিকাল চারটায় কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেরুন নেছা নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করলে পেছনে থেকে তার মিছিলে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে তিনি তার বাসায় চলে গেলে সেখানেও হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ৩৮নাম্বার ওয়ার্ডস্থ ৩নম্বর যোগীনগর রোডে সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী মেহেরুন নেছা’র রেডিও মার্কার কোনো নির্বাচনী পোষ্টার নেই।
যতদুর চোখ যায় সরকার দলীয় প্রার্থীর পোস্টারে সয়লাব। এ বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘পোষ্টার দেখে কি হবে। ভোট দিতে পারি কি না সন্দেহ’। মেহেরুনের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, অফিস কক্ষ সংলগ্ন থাকার রুমটিতে দুটি ভাঙ্গা টেলিভিশন, ভাঙ্গা দরজা, সোফা, কাটা গ্রিল। পুরো বাসাটি লণ্ডভণ্ড। অনেকটা জনমানবশূন্য। হামলার পর থেকে ভয়ে বাসায় কেউ থাকছেন না। এ বিষয়ে প্রার্থীর স্বামী ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তিনবার নির্বাচিত সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার বলেন, প্রথম দফায় ১২ তারিখ প্রচারণার সময় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন লোক অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, লাঠি-সোঠা, রড চাপাতি নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা করে। হামলায় মহিলাকর্মী পারভীন, আব্দুস সালাম, লাল বাবু, নুরুন্নবীসহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন। এছাড়া কবি নজরুল কলেজের ছাত্রনেতা শান্ত, মামদুদ ও তাদের সঙ্গীসহ মোট পাঁচজন মারাত্মকভাবে জখম হয়ে বর্তমানে ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৪ই জানুয়ারি প্রচারণায় গেলে বিরোধী পক্ষের ধাওয়া খেয়ে আত্মরক্ষার্থে প্রার্থী ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন ওয়ারি থানায় আশ্রয় নেয়। এসময় থানার ওসি তাদের সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে পাঠান। কনস্টেবলের উপস্থিতিতে পেছন থেকে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। ১৬ই জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টায় জুড়িয়াটুলি লেনে প্রার্থী মেহেরুন নেছা ও তার সঙ্গে থাকা তিনজন মহিলা প্রচারকর্মীকে প্রচারকালীন সময়ে প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। ১৭ই জানুয়ারি তাহেরবাগে সন্ধ্যা ৭টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারণা শেষে কাপ্তান বাজার জামে মসজিদের গেইটের সামনে নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইমতিয়াজ আহম্মেদ গৌরব সমর্থিত ৩০ থেকে ৪০ জন চিহিৃত সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা চালায়। এসময় আমাদের নেতাকর্মীদের দেশি অস্ত্র-সন্ত্র, ছুরি, চাপাতি, রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আমরা আত্মরক্ষার্থে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করলে হামলাকারীরা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মো. রজ্জব আলী নামে এক কর্মী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ১৯ তারিখ একজন ফটোসাংবাদিক ও দলের একজন কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় আনোয়ার নামে একজন কর্মীর দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং ফটোসাংবাদিকের মাথায় চাপাতির কোপ লাগে। তিনি বলেন, সরকারদলীয় লোকেরা এই হামলা চালিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর