× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে ক্রিকেট

শেষের পাতা

ইশতিয়াক পারভেজ
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

বুধবার রাত ৮টায় টাইগারদের নিয়ে আকাশে ওড়ে ‘মেঘদূত’। বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ফ্লাইটটি ৩ ঘণ্টা আকাশ পাড়ি দিয়ে পৌঁছায় লাহোরে। উষ্ণ অভ্যর্থনায় পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখে বাংলাদেশ দল। সব শঙ্কা উড়িয়ে আজ গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এতে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজ মাটিতে ক্রিকেট খেলার ১১ বছরের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে পাকিস্তানের। সবশেষ করাচিতে দু’দল একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল ২০০৮-এ। ওই  ম্যাচে ১০১ রানে হার দেখে মোহাম্মদ আশরাফুলের দল। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন শীর্ষে পাকিস্তান।
টাইগারদের অবস্থান ১০ নম্বরে। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দল এখন যে কোনো দলকে হারাতে সক্ষম। পাকিস্তানে শেষ ম্যাচ খেলা দলের সদস্য মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবার দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই ম্যাচে খেলা ওপেনার তামিম ইকবালও তার সঙ্গী ।  তারা দু’জনই এখন বিশ্ব ক্রিকেটে দারুণ পরিণত ক্রিকেটার। এক কথায় পাাকিস্তান সফরে যাওয়া তরুণ বাংলাদেশ দলের  মেরুদণ্ড তারাই। লাহোরে পা রাখার পর বাংলাদেশ দল রয়েছে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায়। লাহোরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মি, পুলিশ আর গোয়েন্দা সংস্থার ১০ হাজারের বেশি সদস্য। এমনই বন্দিদশায় অনুশীলন করেছে দুই দল। তবে এমন বন্দি অবস্থার ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, এমন পরিবেশে (বন্দি) দলের সদস্যরা একসঙ্গে সময় কাটাতে পারে। এভাবে যদি দেখেন, তাহলে এটা দলের জন্য ইতিবাচক।’  

পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দল যাবে কি যাবে না! এ নিয়ে দীর্ঘ দিন চলেছে জল্পনা-কল্পনা। তবে বুধবার ‘মেঘদূত’ পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখার পরই যেন আসে আয়োজকদের স্বস্তি। ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, বিসিবি কর্মকর্তা, সংবাদিকদসহ  ৩৫ জন ছিলেন বিমানটিতে। কিন্তু বিমান বহরে নতুন সংযুক্ত এই এয়ারক্রাফটিতে আসন সংখ্যা ১২১ । আর ফাঁকা বিমানে আকাশেই জমে ওঠে দারুণ আড্ডা। ক্রিকেটারদের নিয়ে দীর্ঘদিন পর সরাসরি পাকিস্তান যাওয়ার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ বিমান সেখানে আয়োজন করে অনুষ্ঠানের। আকাশেই কেক কেটে সেই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অধিনায়ক মাহমদুল্লাহ রিয়াদ। তবে পাকিস্তান পৌঁছানোর পর থেকে তাদের সামনে শুধু মাঠের লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ।

২০০৭ থেকে এখন পর্যন্ত দুই দল টি-টোয়েন্টি ১০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ দল প্রথম জয় পায় ২০১৫তে ঢাকায়। পরের বছরও ঢাকাতেই আসে দ্বিতীয় জয়। দুই দলের শেষ দেখা ২০১৬তে কলকাতায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। শক্তির হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে। তবে সর্বশেষ ভারত সফরে মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে দিল্লিতে রোহিত শর্মার দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই দলে ছিলেন না তামিম, সাকিব আল হাসান। তবে এবার তামিম আছেন ওপেনিংয়ের দায়িত্ব নিতে। আর পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়া বাকিরাও সদ্য বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এ দেখিয়েছেন উজ্জ্বল  নৈপুণ্য। ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হতে পারেন তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। মিডল অর্ডারে লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, মোহম্মদ মিঠুন। লেজের শক্তি বাড়াতে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ নিজেই খেলতে চাইছেন শেষদিকে। বোলারদের মধ্যে  স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে লেগি আমিনুল ইসলাম বিল্পবের খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। পেস বিভাগে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেনের সম্ভাবনা রয়েছে।

৫ পেসার নিয়ে পাকিস্তান সফরে গেলেও একাদশে তিন পেসার খেলানোর সম্ভাবনাই বেশি। কারণ দলে নেই সাকিবের মতো একজন বিশ্বসেরা স্পিন অলরাউন্ডার। একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার ছাড়া একাদশ সাজানো কঠিন। দলে নেই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান  মুশফিকুর রহীম।  এতে দল বেশি বোলার নিয়ে একাদশ সাজাতে পারছে না। বিশেষ করে মিডল অর্ডার তাকে ছাড়া অনেকাই দুর্বল। যে কারণে মিঠুন, আফিফ, লিটনদের সেই অভাব পূরণ করতে হবে। বিপিএলে দারুন বোলিং দিয়ে ফর্মে ফিরেছেন মোস্তাফিজ ও রুবেল। তাই তাদের একাদশে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে আল আমিন হোসেন হবে কোচের পছন্দ। আর চমক দিতে চাইলে খেলানো হতে পারে তরুণ হাসান মাহমুদকে।

শেষবার পাকিস্তানে বাংলাদেশ দল হেরেছিল বড় ব্যবধানে। ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে শোয়েব মালিকের দল করেছিল ২০৩ রান। সেই দলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মিসবাহ-উল-হক। এবার মিসবাহ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয়ে উপস্থিত ডাগআউটে। দেশের মাটিতে শোয়েব মালিক ১১ বছর পর খেলবেন টাইগারদের বিপক্ষে। আর মিসবাহ মাঠের বাইরে থেকে কোচ ও প্রধান নির্বাচক হিসেবে। তারা দুুু’জন মাহমুদুল্লাহর দলকে সমীহ করলেও নিজেদের মাটিতে জয় ছাড়া বিকল্প ভাবছেন না সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর