× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হেল্প লাইনে তাপসকে পাবেন নগরবাসী

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হলে নগরবাসীর জন্য হেল্প লাইন চালু করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এই হেল্প লাইনের মাধ্যমে ঢাকাবাসী তাদের যেকোনো সমস্যা ও অভিযোগ জানাতে পারবেন। নাগরিকদের সমস্যার সমাধান না হলে সেখান থেকে তারা সরাসরি মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। সেখানে মেয়র ব্যবস্থা নেবেন। এভাবে আমরা ২৪ ঘণ্টা ঢাকাবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকবো।

গতকাল বৃহস্পতিবার মুগদাপাড়া সিএনজি স্টেশন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তাপস আরও বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়া হবে। নগর ভবনে সবার প্রবেশাধিকার থাকবে।
নগর ভবন শুধু মেয়র, মন্ত্রী-এমপিদের জন্য নয়। এই দরজা সবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। বৃহৎ পরিসরে সেবা করার জন্য মেয়র পদে দাঁড়িয়েছি। মেয়র নির্বাচিত হলে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে প্রত্যেকটি এলাকার উন্নয়ন করে ঋণ শোধ করবো।

নির্বাচনে ঢাকাবাসীর জন্য বিএনপির কোনও রূপরেখা নেই। এজন্য তারা বিভিন্নভাবে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ মনোনিত এই মেয়র প্রার্থী বলেন, বিএনপি জাতীয় রাজনীতির একটি কৌশল হিসেবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এটা তারা নিজেরাই বলেছে। আমরা যখন গণসংযোগে রয়েছি। তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে। তারা নিজেরাই বলেছে যে, এই নির্বাচনকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের কৌশল হিসেবে নিয়েছেন। তারা যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে ঢাকাবাসীর জন্য কোনো রূপরেখা নেই। অন্যদিকে, আমাদের উন্নয়নের রূপরেখার পক্ষে বিপুল জনসমর্থন লক্ষ্য করছি। আমরা শুধু এলাকার নেতাদের নিয়েই এলাকাভিত্তিক গণসংযোগ করছি। আমরা কোনোভাবেই শোডাউন বা বৃহত্তর পরিসরে কার্যক্রম নিচ্ছি না। কারণ এতে জনগণের অসুবিধা হয়ে থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আধুনিক সেবা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা সেই ওয়ার্ডগুলোতে আধুনিক নগরের সব সেবা ও সুবিধাগুলো প্রদান করতে চাই। আমরা দীর্ঘমেয়াদি ৩০ বছরের নতুন পরিকল্পনা করবো। সেখানে এই ১৮টি ওয়ার্ডকে আমরা আধুনিক ওয়ার্ডে পরিণত করার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি।

তাপস বলেন, আমরা ঢাকাবাসীর কাছে যাচ্ছি এবং আমাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। আর ঢাকাবাসী সেটা সাদরে গ্রহণ করছেন। নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে ঢাকাবাসী তাদের সেবক নির্বাচিত করবেন। আমি আশা করবো, আমরা ঢাকা পরিবর্তনের যে নতুন রূপরেখা দিয়েছি ঢাকাবাসী সেই ঐতিহ্য, সুন্দর ও সুশাসিত ঢাকার পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে রায় প্রদান করবেন।

তাপস আরও বলেন, আমাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য কীভাবে পুনরুদ্ধার করে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারি, সেটাই আমার মূল লক্ষ্য। আমরা আরও কিছু বিষয় নিয়ে এসেছি। আমি নির্বাচিত হলে মেয়র হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে ঢাকাবাসীর জন্য কাজ করবো। ঐতিহ্য, সুন্দর ও সুশাসিত ঢাকা নিশ্চিত করবো। মশকনিধন কার্যক্রম ও সবুজায়নে কাজ করবো। এসব কাজে করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনী ইশতেহার কবে নাগাদ দেয়া হবে জানতে চাইলে শেখ তাপস বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে কাজ চলছে। একটু বিলম্ব হচ্ছে, নির্বাচনের আগেই সেটা প্রকাশিত হবে। যেসব প্রতিশ্রুতি দেয়া হবে, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

গতকাল মুগদাপাড়া, সিএনজি স্টেশন, ৬ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বিাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ৪৯ নং ওর্য়াডে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন। এরপর তিনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী প্রচারণায় ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান তিনি। এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন কামাল, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ জুম্মন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর