রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) মিয়ানমারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে যে অন্তবর্তী আদেশ জারি করেছে তাকে মানবতার জয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তার মতে, এ রায় মানবাধিকারকর্মীদের জন্যও মাইলফলক হয়ে থাকবে। ইকুয়েডর সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাৎক্ষণিক পাঠানো এক বার্তায় তার এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘গাম্বিয়া, ওআইসি, রোহিঙ্গা এবং অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় বিজয়। জয় হোক বিশ্ব মানবতার, মঙ্গল হোক মানবতার জননী শেখ হাসিনার।’ মন্ত্রী বলেন, আইসিজে সর্বসম্মত রায় দিয়েছেন, বিচারকরা (১৫ বিচারকের সবাই) অন্তবর্তীকালীন চার অনুরোধ গ্রহণ করেছেন। মিয়ানমারকে আদালত নির্দেশিত ব্যবস্থাগুলো নিশ্চিত করে ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তার পর ৬ মাস অন্তর কী করা হয়েছে তারও প্রতিবেদন দিতে সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আদালত রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং মিয়ানমারের দাবি নাকচ করেছেন। মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও নৃশংসতা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নির্দেশের ফলে আশা করি বিশ্বে জাতিগত শুদ্ধি ও গণহত্যার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে।
এদিকে এ সংক্রান্ত পৃথক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব আদালত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের সুরক্ষার বিষয়ে মিয়ানমার আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছিল, আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রত্যাবাসন চুক্তি করেছিলাম। মন্ত্রী আশা করেন, আদালতের আদেশের পর প্রত্যাবাসনের পথ সুগম হবে। বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা তাদের স্বভূমে (রাখাইনে) ফিরে যেতে উৎসাহিত হবে।
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Liaquat Ali Khan
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ১০:০৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ গাম্বিয়াকে- বাংলাদেশের অবদান রাখার সুযোগ না থাকলেও ভূমিকা ছিল যথেষ্ট! এনায়েত কোন দেশের জানিনা তবে তার মতামত হলো শয়তানের মত- তার (এনায়েতের) জানা উচিৎ ছিল আইসিজে তে মামলা করতে হলে সদস্য হতে হয়। সদস্য না হওয়ায় একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য মামলা করা যাচ্ছেনা।
এনায়েত
২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৬:৫৭
আপনাদের কোনো অবদান নেই। এখানে সব অবদান গাম্বিয়ার। গাম্বিয়াকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Liaquat Ali Khan
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ১০:০৩অনেক অনেক ধন্যবাদ গাম্বিয়াকে- বাংলাদেশের অবদান রাখার সুযোগ না থাকলেও ভূমিকা ছিল যথেষ্ট! এনায়েত কোন দেশের জানিনা তবে তার মতামত হলো শয়তানের মত- তার (এনায়েতের) জানা উচিৎ ছিল আইসিজে তে মামলা করতে হলে সদস্য হতে হয়। সদস্য না হওয়ায় একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য মামলা করা যাচ্ছেনা।