× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শফিকুল-সেন্টুর বিরুদ্ধে মামুনের মামলা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এবং জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা আমানুল হক সেন্টুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সদর মডেল থানার মামলা নং ৫৮। বৃহস্পতিবার রাতে এই মামলা হওয়ার পরই ৩০/৩৫ জন পুলিশ শহরের ফুলবাড়িয়ার সেন্টুর বাসভবনে অভিযান চালায়। এসময় সেন্টু বাসায় ছিলেন না। মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। মামলার ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে। এছাড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হুরায়রা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনকে সাক্ষী করা হয়েছে মামলায়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরআগে ১৪ই জানুয়ারি আল মামুন সরকার শফিকুল আলমকে ১ নম্বর এবং আমানুল হক সেন্টুকে ২ নম্বর আসামি করে থানায় এই এজাহারটি জমা দেন। ৬ পৃষ্ঠার এজাহারের প্রথম ২ পৃষ্ঠায় এজাহারকারী ও ১ নম্বর সাক্ষীর মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিবরণ তুলে ধরা হয়। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনার নামে হীন উদ্দেশ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, বাদী ও ১ নম্বর সাক্ষীর সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গোপন চক্রান্ত ও শলাপরামর্শ করে অনুষ্ঠান শুরুর আগে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে, কিছু ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়। এবিষয়ে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলা হলেও তারা লিগ্যাল নোটিশের জবাব না দিয়ে ৩১শে ডিসেম্বর ‘সাপ্তাহিক গতিপথ’ পত্রিকায় এজাহারকারীর নামে চরম অবমাননা ও মানহানিকর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করেন।    

সদর মডেল থানার ওসি- মামলার ২ নম্বর আসামি জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা সেন্টুর বাসায় অভিযান চালানোর কথা স্বীকার করেন। ১ নম্বর আসামি শফিকুল আলম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ায় সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে করণীয় ঠিক করবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে বিজয় দিবসে জেলা পরিষদ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালিয়ে মঞ্চসহ গোটা আয়োজন তছনছ-ভাঙচুর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ফেস্টুন ছিঁড়ে-কেটে ফেলে দেয়ার মামলায় রিফাদ হোসাইন ফারহান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে এই মামলাটি নিয়ে পুলিশের কোন তৎপরতা ছিলো না।  
বিজয় দিবসে জেলা পরিষদের মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে  হামলার ওই ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারকে দায়ী করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন শফিকুল আলম ও সেন্টু। পরদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মামুন ওই ঘটনায় তাকে জড়িত করার প্রতিবাদ জানান। সেসময় তিনি শফিকুল আলম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং সেন্টু নামধারী মুক্তিযোদ্ধা বলে মন্তব্য করেন। সেন্টুর দুই ভাই স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন মামুন। এরপর ২৩শে ডিসেম্বর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধনে মামুন আবারো তাদের বিরুদ্ধে এই বক্তব্য দেন। এরপর ২৬শে ডিসেম্বর সেন্টু ও শফিকুল আলমকে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর