× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় যুবককে হত্যা

বাংলারজমিন

বগুড়া প্রতিনিধি
২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

 বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবু শাহেদ (৪০) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল দুপুরে বগুড়া সদরের নুনগোলা ঈদগাহ মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহেদ বগুড়া সদরের পূর্ব আশোকোলা গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রুবেল হোসেন ও সীমান্ত নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় ন্যাংড়া বাজারে চুল কাটার সিরিয়াল দেয়া নিয়ে দশটিকা গ্রামের শান্ত এবং জনি নামের দুই যুবকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর শান্ত ফোনে যুবলীগ নেতা রুবেলকে বিষয়টি জানালে রুবেল ওই সেলুনে উপস্থিত হয়ে কর্মরতদের উপর চড়াও হয়। এসময় নিহত শাহেদের ছোট ভাই জাফরুল রুবেলকে বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রুবেল জাফরুলকে মারধর করে। পরে জাফরুল বাড়িতে গিয়ে বড় ভাই শাহেদকে ঘটনাটি জানায়।
এরপর শাহেদ বাড়ি থেকে সেলুনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে দুপুর সোয়া ১২টায় নুনগোলা ঈদগাহ মাঠের কাছে রুবেল ও তার সহযোগীদের সাথে শাহেদের দেখা হয়। এসময় ছোটভাই জাফরুলকে মারধরের কারন জানতে চায় শাহেদ। এনিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রুবেল ও তার সহযোগীরা শাহেদের বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় শাহেদকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শাহেদকে উদ্ধার করে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর পৌনে ২টায় শাহেদ মারা যান। ঘটনার পর পরই পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা রুবেল ও সীমান্ত নামের দুই যুবককে আটক করে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিশিন্দারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল হোসেন ও সীমান্ত নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর