পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জে সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজে আসছে না ব্রিজটি। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৯ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি কর্তৃক পটুয়াখালী মেসার্স সোমা এন্টার প্রাইজ এ ব্রিজটি নির্মাণ করে। জানা যায়, গত ২০১৬ সালে ২৬শে জুন উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চরখালী এলাকার বেড়েরধন নদী (চতরা প্রাইমারি স্কুল) সড়কে মরহুম আবদুল আজিজ হাওলাদারের বাড়ির সামনে প্যাদার হোতা খালের উপর ৯.১৫ মিটার এ ব্রিজটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। নির্মাণে ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজের দুই পাশে প্রয়োজনীয় মাটি না থাকায় এবং নির্মিত ওই ব্রিজের রাস্তা সংস্কার না করায় ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। ব্রিজটিতে উঠতে না পেরে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে ব্রিজটির পাশে গাছের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে। মাটির কাজ না করিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। রাস্তা থেকে প্রায় ৪-৫ ফুট উঁচুতে রয়েছে ব্রিজটি। ব্রিজের উপরে মই ছাড়া ওঠা সম্ভব নয় বলে জানান এলাকাবাসী।
ফলে এলাকার ৫ গ্রাম জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রিজটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারও পথচারীসহ স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এ সড়কটি। শুকনো মৌসুমে বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও বর্ষার সময় ভোগান্তির কোনো শেষ থাকে না। এ ছাড়া কৃষি মালামাল বহনেও বিপাকে পড়ে স্থানীয়ও কৃষকরা। ঠিকাদার উপজেলা এলজিইডিকে ম্যানেজ করে শিডিউল মতো কাজ না করে সড়ক থেকে ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচুতে ব্রিজটি নির্মাণ করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও কোনো সুফল পাচ্ছে না তারা। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিজ উর রশিদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটির দু’পাশে মাটি ভরাট করে পথচারীদের চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে অবহিত করা হবে।