কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ২৮ জন, সহকারী শিক্ষক ৪৭ জন পদ শূন্য। ২০১৭ সাল থেকে শিক্ষক পদ শূন্য ৭৫ জন। পদগুলো শূন্য থাকায় সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে অফিসের কাজ ও বিদ্যালয়ের পাঠদান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। অতিরিক্ত ক্লাসের চাপ ও শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা বেশি হওয়ার কারণে শিক্ষকরা চাইলেও ক্লাসে সবার প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন না। যার ফলে শিক্ষার্থীরাও ভালো করে শিখতে পারে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তানরাই পড়ালেখা করায় অভিভাবকরাও তাদেরকে নজরে রাখতে পারছেন না।
তাও আবার ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি সংখ্যা কম।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট সংখ্যা ১৪৯টি। তার মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২৭ জন, সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে ৫৩ জন। প্রায় তিন বছর থেকে ৮০ জন শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে আছে, নজরে আসছে না কারো।
নিয়ম অনুযায়ী বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে পদোন্নতি ও সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির জন্য সংরক্ষিত থাকে। আর বাকি ৩৫ শতাংশ সরকারি ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আখতারুল ইসলাম জানান, অফিসিয়াল কাগজপত্র দেখে শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবো। বাকি শূন্য পদের বিষয়ে কবে নিয়োগ দেবে কিনা সেটা পরে জানা যাবে।