× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

১৯৮৮ সালের এই দিনে (২৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালায় পুলিশ। এতে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। যাদের স্মরণে সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় স্মৃতিফলকে। সেদিনের হত্যাকাণ্ডে মূল টার্গেট ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন তিনি ছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী। সেদিন  স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে লালদীঘির ময়দানে সমাবেশে এসেছিলেন তিনি। সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে নগরীর কোর্ট বিল্ডিং সড়ক অতিক্রম করার সময় নেত্রীর গাড়ির বহর ও জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে ২৪ জন নিহত ছাড়াও আহত হয় শ’ শ’ ছাত্র, শ্রমিক ও পেশাজীবী জনতা।
সেদিনের হামলায় রাইফেলের কানেকশন বেল্ট খুলে যাওয়ায় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে এক পুলিশ সদস্যের ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। এ সময় আইনজীবীরা শেখ হাসিনাকে কর্ডন করে আইনজীবী সমিতি অফিসে নিয়ে রক্ষা করেন। সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের প্রধান ফটকে নির্মিত ছোট্ট স্মৃতিফলকে প্রতি বছর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আইনজীবী ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। ওইদিন গণহত্যায় নিহত মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দীন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথেলবাট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি-কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আবদুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হেসেন, পংকজ বৈদ্য, বাহার উদ্দীন, হাশেম মিয়া, মো. কাশেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাস, শাহাদাত, বিকে দাস, চান্দ মিয়া ও সমর দত্তকে স্মরণ করেন তারা। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সমপাদক আইয়ুব খান এ প্রসঙ্গে বলেন, সেদিন পুলিশের বর্বর হামলা একাত্তরের গণহত্যাকেও হার মানিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রামে দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। শান্তির বিষয় হচ্ছে ৩২ বছর পর হলেও গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের মাটিতেই এই গণহত্যা মামলার রায় হয়েছে। রায়ে পাঁচ পুলিশকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কোতোয়ালি জোনের সাবেক প্যাট্রল ইন্সপেক্টর গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল (মামলার বিচার শুরুর পর থেকে পলাতক), সাবেক পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, মো. আব্দুলাহ এবং মমতাজ উদ্দিন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সবু প্রসাদ বিশ্বাস জানান, এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ই মার্চ ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে প্রয়াত আইনজীবী শহীদুল হুদা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গণহত্যার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় হত্যাকাণ্ডের সময় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে থাকা মির্জা রকিবুল হুদাকে প্রধান আসামি করা হয়। কিন্তু মামলাটি তেমন সক্রিয় ছিল না। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের নির্দেশে সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রথম দফায় ১৯৯৭ সালের ১২ই জানুয়ারি সিএমপির তৎকালীন কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাকে এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ৩রা নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে মীর্জা রকিবুল হুদাসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার শুরু থেকে গোপাল চন্দ্র মন্ডল পলাতক থাকে। রকিবুল হুদা, বশির উদ্দিন ও আব্দুস সালাম মারা যান। বাকি চারজন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর