কঠোর নিরাপত্তা চাদরে কিছুদিন আগে পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজ খেলে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে এর চেয়েও বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার। লাহোরে গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতর খেলতে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, ১৩ হাজার পুলিশ অফিসিয়াল মোতায়েন করা হয় গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আশেপাশে। রিজার্ভে রাখা হয় আরো ১০০ পুলিশ। আগামী ৫ দিন পর্যন্ত পুরো এলাকা ঘিরে রাখবে পুলিশ ফোর্স। পাকিস্তানি পুলিশের ডিআইজির পর্যবেক্ষণে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছেন ১৭ জন এসপি, ৪৮ জন ডিএসপি, ১৩৪ জন ইনসপেক্টর ও ৫৯২ সাব-অর্ডিনেটস। ওপর থেকে মনিটরিংয়ের জন্য রাখা হয়েছে একটি হেলিকপ্টার।
জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় প্রস্তুত ৫৫০ উদ্ধারকারী। সঙ্গে ৪১ মটরসাইকেল অ্যাম্বুলেন্স, ১০ ফায়ার সার্ভিস যানবাহন ও ২৪টি স্পেশাল অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
খেলোয়াড়দের চলাচলের জায়গা, ম্যাচ, স্টেডিয়াম রাখা হয়েছে সিটিটিভি ক্যামেরার আওতায়। ম্যাচের দুদিন আগে বুধবার রাতে নিরাপত্তা বিষয়ক রিহার্সেল করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার লাহোর ক্যাপিটাল সিটি পুুলিশ অফিসার জুলফিকার হামিদ এবং ডেপুটি ইনসপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ রাই বাবর বাংলাদেশের টিম হোটেল, ম্যাচ ভেন্যু গাদ্দাফি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। এছাড়া পাঞ্জাব সেফ সিটি অথরিটি লাহোরের (পিএসসিএ) অফিসাররা বাংলাদেশি ক্রিকেটার ও আইসিসি ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধানের আশ্বাস দেন পুলিশ কর্তারা।