× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাজীপুর দলিল লিখক কল্যাণ সমিতির কমিটি ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির এডহক কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সমাজসেবা কার্যালয়। এরই প্রেক্ষিতে এই সমিতির সকল কার্যক্রম জেলা সমাজসেবা কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ করবে বলেও তাদের লিখিতভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির সদস্যদের পক্ষ থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রার, গাজীপুর সমাজকল্যান অধিদপ্তর ও সদর মেট্রোথানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রে তারা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দাবি করেন। অভিযোগে বলা হয়, গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যাণ সমিতি একটি পেশাজীবী সংগঠন, বিগত দিনে উক্ত সংগঠনের দুই বৎসর অন্তরে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে সমিতিটি পরিচালিত হয়ে আসছে। কমিটির মেয়াদান্তে পরবর্তী মেয়াদের কমিটি নির্বাচনের জন্য এডহক কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে তিন সদস্যের এডহক কমিটি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির নিকট শান্তিপূর্ণ দায়িত্ব হস্তান্তর করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সর্বশেষ গঠিত এডহক কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে এর মধ্যে তারা নির্বাচন তো দূরের কথা, নির্বাচন করার ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তার পরিবর্তে গড়িমসি করে কালক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে গাজীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম এটা কমিটি ভেঙে দেন এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন পরিচালক নিয়োগ করে দেন।
গত ২৩শে জানুয়ারি গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যাণ সমিতি কার্যালয়ে এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে পত্র পাঠানো হয়। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পক্ষে ২৯৩ জনের স্বাক্ষরিত একটি তালিকা তাদের বরাবর প্রেরণ করে। কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গঠনতন্ত্রের ১০ ধারা মোতাবেক দুই বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। গত ২৮শে ডিসেম্বর গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির মেয়াদ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৬০ দিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও দীর্ঘদিন পর্যন্ত নির্বাচনের বিষয়ে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গঠিত এডহক কমিটি ভেঙে দিয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহাকারী পরিচালককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, এই সমিতির নির্বাচন নিয়ে বর্তমান বিলুপ্ত এডহক কমিটি নির্বাচন না দিয়ে একটি পকেট কমিটি করার পায়তারা করা হচ্ছে এবং পকেট কমিটি করার জন্য মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সমিতির ৩৫০ জন সদস্যের মধ্যে ২৯৩ জন সদস্য নির্বাচন চায়, ওই নির্বাচনের পক্ষে একটি গণস্বাক্ষর বিভিন্ন কার্যালয়ে প্রেরণ করছে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে। যদি তাদের এই দাবি না মানা হয় তাহলে বর্তমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর