কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মালয়েশিয়া প্রবাসী নাজমুল হক (২৬)-এর লাশ উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তার বাসস্থানের টয়লেট থেকে দেয়ালের সঙ্গে হেলান দেয়া গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার করে মালয়েশিয়ান পুলিশ। ওই দিন সকালেই একই এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আল আমিন মুঠোফোনে নাজমুলের পিতাকে বিষিয়টি জানান। নাজমুল হক উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের শিমুহা দিঘিরপাড় গ্রামের হাইদুল ইসলামের পুত্র। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
পিতা হাইদুল ইসলাম জানান, ১৬ মাস পূর্বে একমাত্র ছেলেকে সংসারের সচ্ছলতার আশায় মালয়েশিয়া পাঠায়। সে কুয়ালালামপুরে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে আসছিল। মালয়েশিয়া প্রবাসী এলাকার ছেলে আল আমিন মুঠোফোনে নাজমুল আত্মহত্যা করেছে বলে আমাকে জানায়।
কিন্তু তার মুখের বর্ণনা শুনে আমার সন্দেহ হচ্ছে, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কেউ হত্যা করে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে আমি ভাল করে চিনি। সে আত্মহত্যা করতে পারে এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে এর রহস্য উদঘাটন এবং ছেলের লাশ দেশে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিলন বলেন, নাজমুলের পিতা হাইদুল ইসলাম প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আমার নিকট আসে। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আত্মহত্যা করেছে বলে সেখান থেকে ফোনে জানায়। কিন্তু হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে তার সন্দেহ রয়ে গেছে।