দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে সিপড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি দমন করতে গিয়ে মারধরসহ এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটান ছাত্রলীগ নেতা রিপন। রিপন উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক আবদুল মান্নানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শ্লীলতাহানির শিকার দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী বলেন, আমাদের সহপাঠী দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাতের হাড় ভেঙেছে। আমরা আন্দোলন করছি স্কুলের সামনের সড়কে সিপড ব্রেকার দেয়ার জন্য। রিপন নামের উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা এসে আমাদেরকে তিনবার মেরেছে। আমার গায়ে হাত দিয়েছে। আমার বুকের মধ্যেও হাত দিয়েছে।
তার কী অধিকার আছে মেয়েদের গায়ে হাত তোলার? আমরা বিচার চাই। কর্ণফুলী থানার ওসি ইসমাইল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, মানববন্ধন করার সময় শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে পুলিশ। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির বিষয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ করেনি। এ ধরনের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২০শে জানুয়ারি দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় যাত্রী ছাউনীর সামনে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় সালমা সিদ্দিকা রুপা নামে স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর দুর্ঘটনা এড়াতে দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে সিপড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে শনিবার বিকেলে মানববন্ধনের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধনের জন্য রাস্তায় পাশে দাঁড়ানোর কিছু সময় পর পুলিশ তাদের সরে যেতে অনুরোধ করে। একপর্যায়ে দলবল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা রিপন ছাত্রীদের মারধর করে ও এক ছাত্রীর বুকে হাত দেয়। এ সময় মুঠোফোনে ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। বিষয়টি টের পেয়ে রিপন মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে সব ভিডিও ডিলেট করে দেন।